দিব্যেন্দু গোস্বামী (পশ্চিমবঙ্গ)
দিনের পর দিন বিভিন্ন জেলার সাথে সাথে বীরভূমের তিনটি মহকুমায় বাড়ছে মদ্যপানের চাহিদা যে পরিমাণ বাড়ছে তাতে চিন্তিত পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এক শ্রেণীর পুলিশের মদতে বীরভূমের রামপুরহাট, সিউড়ি এবং বোলপুরে ব্যাপক হারে মদ্যপানের চাহিদাও। বিরতি নেই অন্যান্য দিনগুলির মধ্যে। সাধারণত উৎসবের দিনগুলিতে মদ্যপানের চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যায়। দোকান বন্ধ রেখে পিছনের বিভিন্ন জায়গা দিক দিয়ে সহজেই মদ পেয়ে যাচ্ছে। সেগুলি বিক্রি করা হতো। এখন সেই মদ্যপানের বোতল বেশি দামে এখন থেকেই কিনতে আরম্ভ করেছে মধ্যপাইরা। দাম বেশি হলেও দোলের উৎসব উদযাপন করার জন্য একমাত্র মদ খেয়েই দোল উৎসব পালন করতে চাইছে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বেছে নিয়েছে এই দিনটিকে। দোকান বন্ধ থাকাকালীন পিছনের দরজা দিয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মদ। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক হারে রবিবার রাত্রিতে মদ কেনার হিরিক পড়ে যায়। শুধু এখানেই নয়, তবুও হোলি খেলার দিন মদ্যপান করা রীতিমতো আনন্দের ব্যাপার এমনই জানিয়েছে স্থানীয় মধ্যপায়ীরা। শুধু মদ্যপাইরা নন বীরভূমের খুললাম খুল্লা ভাবে চলছে গাঁজা এবং ব্রাউন সুগারের রমরমা ব্যবসা। রামপুরহাট, সিউড়ি, বোলপুর সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও ছেয়ে গিয়েছে ব্রাউন সুগার এবং গাঁজার চাহিদা। বিশেষ করে কিশোর এবং যুবক সম্প্রদায় এই নেশাজাত দ্রব্যের প্রতি দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। হঠাৎ করে এই সমস্ত মাদকদ্রব্য কিভাবে যুব সম্প্রদায়ী কে আকৃষ্ট করে নিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দ্বার গোড়ায় এক্ষেত্রেও পুলিশের সদুত্তর পাওয়া যায়নি। আমাদের পত্রিকার সাংবাদিক এই বিষয়ে পুলিশকে জানালেও পুলিশ কোন রূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। অবিলম্বে ওই সমস্ত গাঁজা এবং মাদকদ্রব্য যারা বিক্রি করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে আসছে। প্রত্যেকটি বাসস্ট্যান্ড চত্বর বোলপুরের খোয়াই নদীর তীরে এবং সিনেমা হল, শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা পড়ুয়াদের হোস্টেলেও যুব সম্প্রদায় গাজার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। রীতিমতো চলছে ব্রাউন সুগারের রমরমা ব্যবসা। এই সমস্ত যুব এবং কিশোর সম্প্রদায় আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে আসছে তার কারণ কি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখনই যদি পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হন। তাহলে অনেক যুবক এবং কিশোর যারা মাদকদ্রব্য নিচ্ছে তারা অনেকাংশেই আবার নতুন জীবনে ফিরে আসতে পারে। এমনই বক্তব্য প্রত্যেকেরই। রামপুরহাটের লোটাস মোড়, কলেজ, সিনেমা হল প্রভৃতি জায়গায় রমরমে চলছে মাদকদ্রব্যের কারবার। দেখাশোনা করার মত কেউ নেই। যার জন্য প্রতিনিয়ত কিশোর এবং যুব সম্প্রদায় সকলেই এই ধরনের ব্রাউন সুগারে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। এখানেও পুলিশের কোন সদর্থক ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। যার ফলে মাদকদ্রব্য এবং গাজা, সরাসরি বিহার এবং ঝাড়খন্ড থেকে ঢুকে পড়ছে কোনরকম বাধা ছাড়াই। ওইসব নেশাযতো দ্রব্য সারাদিন ই বিক্রি হলেও সন্ধ্যে ছটার পর এই সমস্ত মাদকদ্রব্য দিনের পর দিন বেড়ে ই চলেছে। রাত্রি সাতটা সময় অতিক্রান্ত হলেও ভুল করেও কোন মহিলা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছে না। তারা জানিয়েছেন একটাই কারণ বেশ কিছু যুবক তাদের হাতে পয়সা না থাকার কারণে কখনো মহিলাদের হার ছিনতায় কখনো মোবাইল কখনো ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। ভীত সন্তস্ত মহিলারা তাই রাত্রি সাতটার পর কাজ থাকলেও বাড়ির ভেতরেই থাকছেন। এর সুরাহা কবে হবে? সেই দিকেই তাকিয়ে আছে এই তিনটি মহকুমার নারী পুরুষ উভয়ই। আর কবেই বা পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেবে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে স্থানীয় জনগণ। এখনো সময় রয়েছে সামাজিক এই ব্যাধিকে শেষ করতে পারে পুলিশ প্রশাসন।একমাত্র জনসচেতন সংস্থা কিংবা পুলিশ। যাই হোক অবিলম্বে এই ধরনের জনপতিনিধিরা কি করছেন তারাও কি শীত ঘুমে আচ্ছন্ন?