‘লিভ ইন পার্টনারকে’ খুন করার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার মিঞাপুর এলাকায়।
মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকার একটি বন্ধ বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরতে থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে ভুটু সাহা (৩২) নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত এবং পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ওই যুবকের কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক ছিল এবং মহিলা বর্তমানে কোথায় রয়েছে পুলিশ তা সবই তদন্ত করে দেখছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে দেহটি ইতিমধ্যেই জঙ্গিপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান লিভ ইন পার্টনার সঙ্গিনীর সঙ্গে অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন পেশায় পরিবহন ব্যবসায়ী ভুটু। পুলিশের আরও অনুমান, ভুটু আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁর সঙ্গিনী। যদিও তাঁর আগেই বাড়িতে মৃত্যু হয় ভুটুর। পুলিশের অনুমান, এরপর ভয় পেয়েই ওই মহিলা ভুটুর দেহ বাড়িতে রেখে বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে অন্যত্র চলে যান। যদিও মৃত যুবকের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে ভুটুকে খুন করা হয়েছে।
কিরণ সাহা নামে মৃত যুবকের এক দাদা বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে মির্জাপুর গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে আমার ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভাই ওই মহিলাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিলেও তাঁদের বিয়ে হয়নি বলেই জানতাম।’ তাঁর কথায়, ‘ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর থেকে ভাই পরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে মিঞাপুরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে ‘লিভ টুগেদার’ করত। তবে তাঁদের কোনও সন্তান নেই।’ এদিন সকালে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভুটুর দেহ দেখতে পায়। পরিবারের দাবি, ভুটুর দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। গলার পাশেও ছিল গভীর ক্ষত। ওই মহিলার সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি ভুটুর পরিবারের সদস্যরা।