বহুতল নির্মাণের কাজ চলার সময় পাঁচিল ধসে মৃত দুই শ্রমিক। আহত একজনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরপাড়া থানার অন্তর্গত নবগ্রামে পঞ্চায়েতের নবচক্র এলাকায়। সেখানে একটি পুরোনো বাড়ি ভেঙে বহুতল তৈরির কাজ চলছিল। শুরুতে ভিতের কাজ চলার সময় হঠাৎই সংলগ্ন পাঁচিল ধসে পরে। পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক জন শ্রমিকের। এক মৃতের নাম শ্যামল দাস(৪৮)। আহত হয় ২ জন। আহত দুজনকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় সোনা শীল(৩১) নামে এক শ্রমিকের। আহত সোনা শীলকে উত্তরপাড়া থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করার সময় মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ চলছিল। রাস্তার পাশে পুরোনো পাঁচিল গার্ড না করেই কাজ হচ্ছিল। ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ বাহিনী। মৃত শ্যামল দাস প্রমোটার গনেশ দাসের দাদা। এদিন ঘটনার পর গনেশ বলেছেন, বাঁশ দিয়ে পাঁচিলে সাপোর্ট দেওয়া ছিল। কপাল খারাপ ছিল, দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। গত পনেরো দিন ধরে কাজ চলছিল। এদিন সকাল থেকে ২০ জন শ্রমিক ওখানে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়ম না মেনেই নির্মাণ চলছিল। তাঁদের প্রশ্ন কীভাবে পঞ্চায়েত এলাকায় জি প্লাস ফোর আবাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, খোদ প্রধানের ওয়ার্ডে এমন কাজ হচ্ছে। তাহলে অন্য জায়গায় কী হচ্ছে। এছাড়া ভারী গাড়িতে করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসায় রাস্তায় ধস নামছে। অনেকবার নিষেধ করা হলেও শোনেনি, অভিযোগ স্থানীয়দের। নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার বলেছেন, অনুমোদন নিয়েই কাজ চলছিল। আবাসন তৈরি হচ্ছিল জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে। একটা মিটার ঘর ছিল, পাঁচিলে সেটি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।