সন্দেশখালি থেকে সিবিআইয়ের তল্লাশিতে বিস্ফোরক অস্ত্র উদ্ধার হতেই, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড অর্থাৎ এনএসজির কমান্ডোরা অত্যাধুনিক রোবট সহ হাজির হলেন সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত এলাকায়। দেশের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ও খতরনাক বাহিনীকে হঠাৎ কেন নিয়ে আসা হলো সন্দেশখালি তে! তবে কি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক রয়েছে এই সন্দেশখালিতেই লুকানো! এখন এমন নানা প্রশ্নই উঠে আসছে সন্দেশখালীর বর্তমান পরিস্থিতি দেখে। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই, সরবেড়িয়ার আগারহাটির মল্লিকপাড়া এলাকায় উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণে বিদেশি অস্ত্র ও বিস্ফোরক। স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়ে বাড়ির মেঝে ভেঙে উদ্ধার করে এই অস্ত্র ও বিস্ফোরক। আর তারপরেই খবর দেওয়া হয় এনএসজিকে। যদিও এখনো সিবিআই নিশ্চিত হতে পারছে না কেন বাড়িতে এত অস্ত্র মজুদ করা হয়েছিল। শাজাহান গড়ে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হতেই বড় কোন নাশকতার ছক তৈরি হচ্ছিল কিনা তা নিয়েই এখন ধন্দে তদন্তকারী সংস্থা। এনএসজি বিশেষ এই বাহিনী ভারত সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা একটি সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট বলেই পরিচিত।
১৯৮৪ সালে তৈরি করা হয় এই বাহিনী। দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের যে কোনও কর্মকাণ্ড মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন সময় লড়াই করতে দেখা গিয়েছে এই বিশেষ বাহিনীর কমান্ডোদের। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিশেষ রোবটের পাশাপাশি অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করেই এনএসজির কমান্ডোরা এখন সন্দেশখালীর ওই এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে আরো বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে সেই কারণেই ডাকা হয় এনএসজিকে।