অনেকেই ভেবেছিলেন ‘মর্ত্যের স্বর্গে’ রম্যসফরের বুঝি ইতি ঘটল, অন্তত কয়েক বছরের জন্য। কিন্তু না। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য প্রশাসন, কেন্দ্রীয় সরকার, সেনা-পুলিশের তৎপরতায় এবং পর্যটকদের সাহসে ভর করে ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে উপত্যকা। এমনকী রবিবার অভিশপ্ত পহেলগাঁওয়ে ফিরলেন পর্যটকরা। উপভোগ করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে খ্যাত বৈসরনে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়।
এরপর আতঙ্কে পহেলাগাঁও ছাড়েন বহু পর্যটক। পরবর্তী কয়েক দিন সুন্দরী উপত্যকার রূপ দেখতে আসার সাহস করেননি কেউ। এমনকী কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেন পর্যাটকদের একাংশ। যদিও ধীর লয়ে হলেও সেই পরিস্থিতির বদলাচ্ছে। প্রমাণ দিলেন রবিবার বেঙ্গালুরু ও কলকাতা থেকে পহেলগাঁও পৌঁছানো পর্যটকরা। এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে আস্থা প্রকাশ করলেন তাঁরা। চাপা উদ্বেগ সত্ত্বেও পাহেলগাঁও ভ্রমণ বাদ দেননি ভ্রমণপিপাসু মানুষগুলো কলকাতা থেকে আসা এক তরুণী জানালেন, “কাশ্মীর এখন নিরাপদ। দোকান-পাট খোলা। পর্যটকরা নিরাপদ। সবাই আসছেন।
আপনারও যদি কাশ্মীর বেড়ানোর পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে আসুন।” গুজরাটের সুরাট থেকে আসা মহম্মদ আনাস জানালেন, সবকিছু আগের মতো হয়ে গিয়েছে। বললেন, “চিন্তার কিছু নেই। সেনাবাহিনী, সরকার এবং স্থানীয়রা আমাদের সঙ্গে আছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।” ভয় যে পেয়েছিলেন তাও জানালেন। বলেন, “ঘটনার পর আমরা ভীত ছিলাম। প্রথমে ফিরে যাব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু স্থানীয়রা এবং সেনাবাহিনী আমাদের সাহস দেয়।