২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের বিশ্বনাথপুর অঞ্চলের ভাঙ্গাগেড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, কেশপুর ব্লকের ভাঙ্গাগেড়া এলাকার বাসিন্দা তাহের আলি তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান থাকা সত্বেও তার শ্যালিকাকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে চেয়েছিল। তাতে তার স্ত্রী মিনারা বিবি সহ শালিকা ও শ্বশুরবাড়ির কেউ রাজি ছিলেন না।
তাই তাহের আলি তার শ্বশুরবাড়ির দরজায় শিকল দিয়ে গোটা বাড়িতে পেট্রোল ধরিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই ঘটনায় তার স্ত্রী মিনারা বিবিসহ মোট ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে এবং আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়ে আহত হয় পাঁচজন। আগুনে পুড়ে ৬ জনের মৃত্যু এবং পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনায় তাহের আলি কে কেশপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।
এরপর মেদিনীপুর জেলা আদালতের তার বিচার শুরু হয়। বিচার শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলা আদালতের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ ঘটনার জন্য তাহের আলি কে দোষী সাব্যস্ত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার মেদিনীপুর জেলা আদালতের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ ৬ জনকে পুড়িয়ে মারার এবং পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া তাহের আলি কে আমৃত্যু কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। আদালতের রায়ে খুশি তাহের আলির মেয়ে মুসকান খাতুন।
তিনি বলেন, উনি যেভাবে আমার মা, দুই মামা, নানী সহ ৬ জন কে পুড়িয়ে মেরেছে এবং ৫ জন আহত হয়েছে তা আমরা ভুলে যায় নি। যখন ওই ঘটনা ঘটেছিল তখন আমার বয়স ছিল আট বছর, আমরা তিন বোন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম। কিন্তু মা সহ অন্যান্যরা আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছিল। উনি যে কষ্ট আমাদের দিয়েছেন তা আমরা আজও ভুলতে পারিনি। উনাকে আমৃত্যু কারাদন্ডের নির্দেশ আদালত দেওয়ায় আমি ও আমার বোনেরা খুশি বলে মুসকান খাতুন জানান।