পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যুতে ফুঁসছে গোটা দেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। প্রবল দুই দেশের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা প্রশমিত করতে আলোচনার মাধ্যমে শান্তির বার্তা দিয়েছে ইউরোপ, আমেরিকার, রাশিয়ার মতো দেশগুলি। এই আবহেই রবিবার আর্কটিক সার্কেল ইন্ডিয়া ফোরামের আলোচনায় অংশ নিয়ে এই ইস্যুতে মুখ খোলেন জয়শংকর। তিনি বলেন, “ভারত কোনও উপদেশদাতা চায় না, সহযোদ্ধা চায়।
বিশেষ করে সেই উপদেশদাতাকে একেবারেই চায় না যারা ঘরে একরকম ও বাইরে আর একরকম।” জয়শংকর বলেন, ভারত এমন দেশগুলির সঙ্গে কাজ করতে চায় যারা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া দেখায়। একইসঙ্গে ইউরোপকে কটাক্ষ করে বলেন, কিছু ইউরোপীয় দেশ এখনও তাদের মূল্যবোধ ও কাজের ধরন নিয়ে লড়াই করছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা যখন বিশ্বের দিকে তাকাই তখন উপদেশদাতা নয়, অংশীদার খুঁজি। মুখোশধারীদের নয়, ভারত তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী যারা সৎ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, ইউরোপের কিছু দেশের এই সমস্যা রয়েছে।
সফল অংশীদারিত্বের জন্য একে অপরের চাহিদা ও আগ্রহকে বুঝতে হবে, সমস্যায় পাশে দাঁড়াতে হবে। বিদেশমন্ত্রী কূটনৈতিক আঙ্গিক থেকে এই বার্তা দিলেও সাম্প্রতিক পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রেক্ষিতে তাঁর এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত-পাক দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনার মাঝে দুই দেশকে সংযত হওয়ার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। অনুরোধ করেছেন, আলোচনার মাধ্যমে যাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও কূটনৈতিক পথে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানকে। এবার রাশিয়া সেই পথে হেঁটেছে। যদিও ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। আমেরিকার অতীত সম্পর্কে গোটা বিশ্ব অবগত। ইউরোপের দেশগুলির সুবিধাবাদী মানসিকতা নিয়ে জয়শংকর আগেই বার্তা দিয়েছিলেন, ‘ইউরোপের সমস্যা গোটা বিশ্বের সমস্যা অথচ অন্যদের সমস্যা ইউরোপের সমস্যা নয়।’ ইউরোপের সেই মানসিকতা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠছে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে।