বুধবার যে সমস্ত ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা সেখানে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফিরে আসারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধিনস্থ দ্য ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা। জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্তারপুর করিডর বন্ধ থাকবে। বাটলা পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট সোহেল কাশিম মীর বলেন, “বুধবার কর্তারপুর গুরুদ্বারে যাওয়ার জন্য ৫০০ জন তীর্থযাত্রী নিবন্ধন করেয়েছিলেন।
এদিন সকালে প্রায় ১০০ জন এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু করিডর বন্ধ থাকায় তাঁদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে কী কারণে এটি বন্ধ করা হল, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। শিখ ধর্মাবলীদের জন্য অত্যন্ত প্রবিত্র তীর্থক্ষেত্র গুরুদ্বারা দরবার সাহিব কর্তারপুর বা কর্তারপুর গুরুদ্বার। শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন এখানেই। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কর্তারপুর সাহিব পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে পড়ে।
এর পর থেকে ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের দাবি ছিল এই তীর্থক্ষেত্রে যাতে সহজে যেতে পারেন শিখ ধর্মাবলীরা, সরকার যেন তার ব্যবস্থা করে। সেইমতো ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পাক সরকারের সঙ্গে কর্তারপুর করিডর চুক্তি সম্পন্ন করে ভারত সরকার। যার মাধ্যমে ৪ কিমি রাস্তা পার করে ভারত থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুরে যেতে পারেন শিখ তীর্থযাত্রীরা। এর জন্য ভারতীয় শিখদের কোনওরকম ভিসা লাগে না।