মঙ্গলবার মাঝরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনা। খতম হয়েছে অন্তত ৯০ জেহাদি। নষ্ট হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটি। এরপর ইসলাবাদ পালটা আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই তাঁর বার্তা, “আতঙ্কিত হবেন না। বিভ্রান্ত হবেন না। দায়িত্বপ্রাপ্তরা নজর রাখছেন। কোনও তথ্য থাকলে জানাতে পারেন।
মেসেজ করতে পারেন।” একইসঙ্গে ভুয়ো তথ্য বা খবর থেকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। বলেন, “সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। ভুয়ো খবরে কান দেবেন না। যারা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শীঘ্রই ২৪ ঘণ্টার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর চালু করা হবে। পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে। নজরদারি বাড়াবেন আইসিরা। তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন সময় কেন্দ্র-রাজ্যের মতপার্থক্য় সামনে এসেছে।
কিন্তু জাতীয় স্বার্থে রাজ্য সরকার সবসময় কেন্দ্রের পাশে রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বললেন,”কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করব। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এককাট্টা লড়াই। এই সময়ে কোনও বিভেদ নেই। আমরা সবাই দেশের পক্ষে।” সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “আমরা দেশকে ভালোবাসি। বাংলা দেশের জন্য চিরকাল প্রাণ দিয়েছে। সবটা আগলে রাখুন।”
এমন পরিস্থিতির সুযোগ নেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। পণ্য মজুত করে কালোবাজারি শুরু করে। তাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়। রাজ্যে যাতে এমন অবস্থা তৈরি না হয়, আমজনতা যাতে কালোবাজারির ফাঁদে না পড়ে, তাই আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে তিনি বলেন, “যাতে দাম বাড়াতে না পারেন ব্যবসায়ীরা, সেদিকে নজর রাখতে হবে।