বুধবার রাতে ভারতের সীমান্তবর্তী ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান। এই শহরগুলির মধ্যে রয়েছে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভাতিণ্ডা, নাল, ফালোড়ি, উত্তারলাই এবং ভূজ। পাকিস্তান মূলত ড্রোন এবং মিসাইলের মাধ্যমে এই হামলা চালায়। কিন্তু আগাম হামলার আঁচ পেয়ে সতর্ক হয়ে যায় ভারতীয় সেনা। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাক হামলার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়। আর এই সাফল্যের নেপথ্যে যেমন একদিকে রয়েছে ‘সুদর্শন চক্র’ এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। অন্যদিকে রয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ভূমি থেকে আকাশ’ মিসাইল সিস্টেম।
কতটা শক্তিশালী আকাশ?
ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও এই মাঝারি পাল্লার ‘ভূমি থেকে আকাশ’ মিসাইল সিস্টেম প্রস্তুত করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তৈরি করেছে ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড। ‘আকাশ’-এর সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল এটি যে কোনও জায়গায় বহন করা যায়। ট্রাক বা ট্যাঙ্কের মতো যানবাহনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ রেখা বা অন্যান্য সীমান্ত পেরিয়ে যায় দ্রুত। ৪৫ কিমি দূরেও অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ করতে পারে আকাশ।
১৮,০০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় এটি যুদ্ধবিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইলের পাশাপাশি ব্যালিস্টিক মিসাইলকেও নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে। উচ্চতা ৫.৭৮ মিটার। ওজন ৭২০ কেজি। ব্যাস ৩৫ সেমি। সর্বোচ্চ গতিবেগ ৩০৮৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
এর উন্নত সংস্করণ আকাশ-এনজি আবার ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। যার গতিবেগ প্রায় ২৫০০ কিমি/ঘন্টা। এটি ১৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ৬৪টি লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করতে পারে। এটি একসঙ্গে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে।