বাংলাতে মাছের দাম কেন বাড়ছে? এই নিয়ে বিভাগীয় মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরীর কাছে কৈফিয়ত চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সচি ব সহ একাধিক অফিসার কে নিয়ে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকেই সবার সামনেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব বাবুকে বলেন আপনি আড়াই বছর ধরে দপ্তরের মন্ত্রী। কি করছেন? এখনো কেন বাংলার বাইরে থেকে মা সামদানি করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য শোনার পর বিপ্লব বাবু কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু তাকে থামিয়ে দেন তিনি।
পরিষ্কার বলেন একটা মাছ বড় আকার নিতে খুব বেশি হলে দুবছর সময় লাগে। কিন্তু তার আগেই কেন মাছ তুলে নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া মাছের দাম তো কমছে না। আপনি অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন। পাঁশকুড়া পূর্বের বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী নির্বাচনী এলাকার পুরোটাই কৃষি নির্ভর সেই সঙ্গে রয়েছে মৎস্য চাষে। মুখ্যমন্ত্রীর আশা ছিল পূর্ব মেদনীপুরের এই বিধায়ক মন্ত্রী নিঃসন্দেহে কিছু কাজ করে দেখাতে পারবেন। কিন্তু নবান্নের বৈঠকে তাকে আরো সচল হতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
এইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন একাধিক ভেরি চরিত্র বদল করে ব্যবসায়িক কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। শুধু মৎস্য দপ্তর ই নয় ভূমি রাজস্ব দপ্তরকেও এজন্য কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। বহু এলাকায় বিশেষ করে কলকাতার লাগুয়া সুন্দরবন অঞ্চলে ভেরি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কোনরকম অনুমতি ছাড়াই। এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে জমা পড়ে। তারপরেই তিনি এই বৈঠকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। দপ্তরের সচিব রোশনি সেনকে মাছের দাম কমানো এবং ভিন রাজ্য থেকে যাতে ধাপে ধাপে মাছ আমদানি বন্ধ করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন।