৭মে থেকে ১০মে পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানের ৩০ থেকে ৪০ পাক সেনাকে খতম করেছে।নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এর ফলে একশোর বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দিল্লিতে এক জরুরী সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই তথ্য পরিবেশন করেন ভারতের ডাইরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন বা ডি জি এম ও লেফট্যালেন্ট জেনারেল রাজীব ঘাই,এয়ার মার্শাল অভ্যেস কুমার ভারতী ও এডমিরাল প্রমদ।ডিজে এম ও বলেন অপারেশন সিন্দুর অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করা সম্ভব হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা কৃতিত্বের সঙ্গে টার্গেট ঠিক করে জঙ্গি ঘাঁটিতে একের পর আঘাত আনে। ওইসব জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে গিয়েছে।
তবে এই যুদ্ধে ভারতের পাঁচ জন সেনা শহীদ হয়েছেন। কে খতম করতে দেশকে রক্ষার জন্য এই পাঁচ সেনা কে চিরকাল মনে রাখবে দেশ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী। সাধারণত এই ধরনের যুদ্ধ বা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে সেনাবাহিনী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হোন না। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অপারেশন সিন্দুরের নেতৃত্ব দেয়া অফিসারদের সামনে নিয়ে আসেন। সাংবাদিকদের তারা ভারতের হামলার তথ্য দেন। ডিবিএম ও ভারতী আরো বলেছেন কিভাবে জঙ্গি খাঁটিকে চিহ্নিত করা গেছে সে সম্পর্কে আমরা কিছু বলছি না। কারণ এর কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। তবে এটা বলতে পারি জঙ্গি সংগঠন জৈশ প্রধান মাসুদ আজাহারের গোটা পরিবারই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
আরেক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তৈবার সেকেন্ড ইন চিফ আব্দুল মালিক ও পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন উদাসীন আজহার কে খতম করা হয়েছে। পাকিস্তানের একাধিক এয়ার বেসও নষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় সেনারা। ৩ সেনা আধিকারিক এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ফের হামলা হলে আমরা তৈরি। তবে অপারেশন সিন্দুর এখনো শেষ হয়ে যায়নি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অথবা পাকিস্তানের মধ্যে যেখানে জঙ্গিরা ঘাঁটি গেডেছে সেখানে ভারতীয় সেনা ফির হামলা করবে। যে ২৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে মর্মান্তিকভাবে তার যোগ্য জবাব আমরা দিচ্ছি এবং দেব.





