- Advertisement -spot_img
Homeরাজ্যফের বিতর্কে দীঘা জগন্নাথ ধাম, প্রকাশিত হলো সিভিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি

ফের বিতর্কে দীঘা জগন্নাথ ধাম, প্রকাশিত হলো সিভিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি

- Advertisement -spot_img

ফের বিতর্কে দীঘার জগন্নাথ মন্দির বা ধাম। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নামে দীঘা মন্দির তৈরি হলেও এই জগন্নাথ ধাম কে কেন মন্দির বলা হচ্ছে এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হলো। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা করার অনুমতি ও দেয়া হয়েছে। মামলাকারীর বক্তব্য যে যারা এই মন্দিরে অনুদান দেবেন তাদের কোট শার্ট দেয়া হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ওই অনুদান জমা দিলে হিট কোর অফিসের ঠিকানা দেখানো হচ্ছে। কিন্তু বলা হয়েছিল এই করবে একটি ট্রাস্ট। সরকারের তরফে ওই ট্রাস্টের হাতে পুবে দেয়া হয়েছে জগন্নাথ ধামকে।

 

জগন্নাথ দেবের মূর্তি নির্মাণ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুরীর রাজেশ দৈতা পতিকে এজন্য মন্দির কর্তৃপক্ষ এক মাস সাসপেন্ড করেছে। আর এর মধ্যেই দীঘা জগন্নাথ ধাম নিয়ে জনস্বার্থে মামলা হল। আদালতে মামলাকারীর পক্ষ থেকে বলা হয় সরকারি খাতায় জগন্নাথ ধাম কে বলা হয়েছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কিভাবে অনুদান দিলে কোট ছাট দিতে পারে?

 

পাশাপাশি জগন্নাথ ধামকে নিয়ে আরো একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তা হল এখানে ১০০ সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হবে। এ ধরনের মন্দিরে কেন সিভিক ভলেন্টিয়ার এই প্রশ্ন তুলেছে মামলাকারী। যদি সংস্কৃতিক কেন্দ্রের চর্চা হয় সে ক্ষেত্রে পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ট্রাস্টি প্রয়োজন ভিত্তিক নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করবে। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যায় পুলিশি এই সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তি তো বলা হয়েছে দীঘা থানা ও দীঘা মোহনা থানা থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদের জন্য আবেদন করতে ফোন দেয়া হচ্ছে। আগামী ১৯ মেয়ের মধ্যে ওই ফোন জমা নেয়া হবে।

 

 

এরপর আর কোন আবেদন পত্র জমা নেয়া হবে না। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন কারীদের সুঠাম স্বাস্থ্য, ন্যূনতম কুড়ি বছর বয়স এবং অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে হবে। যেসব পার্ট আবেদনকারী কম্পিউটারে দক্ষ তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। মামলাকারি অভিযোগ কেন এই সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে রাজ্য মন্ত্রিসভা এই শতাধিক সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে এদের বেতন রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকেই দেয়া হবে। মামলাকারীর আরো দাবি সরকার কখনো মন্দির বাঘ যেকোনো ধর্মস্থান নির্মাণ করতে পারে না। এজন্য সরকারের কোষাগার থেকে কোন টাকাও খরচা করা যায় না। কিন্তু হিটকো কিভাবে এই মন্দির নির্মাণে সরকারি টাকা খরচ করলো?

 

সবকিছু শুনে বিচারপতি সৌমেন সেন তার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার অনুমতি দেন। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রথম থেকেই এই জগন্নাথ ধাম নির্মাণে সরকারি টাকা খরচের অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে ট্রাস্টের টাকায়। কেন্দ্রীয় সরকার অথবা অন্য কোন সরকারের থেকে আর্থিক অনুদান নেয়া হয়নি। কিন্তু পুরীর জগন্নাথ ধাম নির্মাণে সরকারি টাকা খরচ করা হয়েছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
Stay Connected
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
Must Read
- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here