হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষকরা আন্দোলন করুন। কিন্তু সেই আন্দোলন যেন শিক্ষক সুলভই হয়। এছাড়া শর্তসাপেক্ষে আন্দোলনকারীদের সেন্ট্রাল পার্কের কাছে ধন নাই বুঝতে বলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
আদালতের নির্দেশ মেনে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা সেই ভাবেই আন্দোলন শুরু করেছেন। কিন্তু এর মধ্যেও তাদের আন্দোলনে যে ঝাঁজ রয়েছে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে আন্দোলনকারীরা বলেন আমরা আগামী সোমবার পর্যন্ত দেখব। সোমবারের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী অথবা রাজ্য সরকারের কোন মন্ত্রী বা পদাধিকারী আমাদের সঙ্গে কথা না বললে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে আমরা যাব। যা ভয়ংকর অকার নেবে। আমরা একদিনই বিকাশ ভবনের যে চারটে বুঝিয়ে দিয়েছি কি করতে পারি। তাই সরকারকে বলছি আলোচনায় বসে পথ খুলুন।
তবে এরই মধ্যে শনিবার কয়েকজন যোগ্য শিক্ষক আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বাড়ি গিয়ে দেখা করেন। জানতে চান আইনি পথে কিভাবে তারা সুবিধা পেতে পারেন। ওই শিক্ষকদের পাশে রেখে বিকাশ বাবু বলেন , আমি ওদের বুঝিয়ে বলেছি রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন করলেও কোন ফল হবে না। সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ তাতে 26 হাজার শিক্ষকের প্যানেল বাতিল হবে।
পরে শিক্ষকরা বলেন আমরা এসেছিলাম বাঁচার পথ খুঁজতে। কিন্তু রাজ্য সরকার কিছুতেই যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে না দেওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হলো। অর্থাৎ সবমিলিয়ে বলা যাবে যে আগামীতে যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি মেয়াদ ওই ডিসেম্বর মাস পর্যন্তই। আর যেসব অযোগ্য শিক্ষক চিহ্নিত হয়েছেন তাদের আবারো সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে যতদিন বেতন নিয়েছেন তার ১২% সুদ সহ ফেরত দিতে হবে।





