কাকদ্বীপের পর এবার নামখানা। ভোটার তালিকা নিয়ে দক্ষিণ 24 পরগনায় একের পর এক কেলেঙ্কারি। এবার নামখানা তে দুই সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে এফ আই আর করলো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, নামখানা ব্লকে ভুয়ো ভোটারের নাম তালিকাভুক্ত করেছে। যারা মারা গিয়েছেন তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেননি। ভোর ভোটারদের তালিকায় সংযোজন করেছেন। ভোটারদের ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ঢালাও বে নিয়ম করা হয়েছে। এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ওই দুই কর্মসহ সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন এফআইআর দায়ের করেছে। এর ফলে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করবে পুলিশ। যে দুজনের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন হলেন ক্লার্ক অপরজন সমবায় দপ্তরের ইন্সপেক্টর।
বিজেপির তরফে বারে বারে অভিযোগ করা হয়েছে ভু ভোটারের কথা। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ করেছিল। সেই ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। সামনে আসতে থাকে একের পর এক কেলেঙ্কারি। শুভেন্দু অধিকারী ভোটার তালিকা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন।
কিছুদিন আগে কাকদ্বীপে সিস্টেম ম্যানেজার অরুণ গড়াই কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যুগ্ম ভিডিওর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তিনি ভোটার তালিকায় একাধিক হুও ভোটারের নাম তুলেছেন। এমনকি বিডিওর টেলিফোন নম্বর বদল করে নিজের নম্বর দিয়ে ওইসব কেলেঙ্কারি করেছেন সিস্টেম ম্যানেজার। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিজেপি বলেছে খুব শীঘ্রই ওই অভিযুক্ত আদালতে গিয়ে বলবেন কারা চাপ দিয়ে তাদের ওই কাজ করাতে বাধ্য করিয়েছেন। ভোটার তালিকা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে তা পরিষ্কার। এরকম দুর্নীতিতে আরো অনেকের নাম উঠে এসেছে তাদের নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।





