সুন্দরবনের গোসাবা ব্লক।৯টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত গোসাবা। রয়েছে গোসাবা, পাখিরালা, সাতজেলিয়া, লাহিড়ীপুর, বালি, মথুরাখন্ডের মত দ্বীপ।এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও তথৈবচ। প্রতিনিয়ত বিভ্রাট। ঘন ঘন লোডশেডিং। কোথাও আবার লো-ভোল্টেজ। এমনকি তিনচার ঘন্টাও লোডশেডিং হয় বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ।দীর্ঘ প্রায় একমাস এমন ঘটনায় জর্জরিত এলাকার মানুষজন।
বিভিন্ন জায়গায় দরবার করে অনুনয় বিনয় করলেও সুরাহা হয়নি। আবার আবহাওয়া গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার ন্যায়, প্রচন্ড দাবদাহ। একদিকে লোডশেডিং আর অপরদিকে দাবদাহ। এই দুইয়ের দাপটে পড়ে অতিষ্ট হয়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙলো এলাকার বাসিন্দাদের। সোমবার গোসাবা বিদ্যুৎ দফতরের ঝাঁটা হাতে নিয়ে হাজীর হয় গ্রামবাসীরা। দফতরের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। এমনকি বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের কে ঝাঁটা দিয়ে মারার জন্য উদ্যত হয় অতিষ্ট ক্ষীপ্ত গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে গোসাবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজীর হয়।গ্রামবাসীদের কে আশ্বস্থ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবী, ‘বিদ্যুৎ দফতরের লাগাম ছাড়া বিল। সেই বিল মেটাতে হয়।দেরী হলে অতিরিক্ত ফাইন দিতে হয়। টাকা দিচ্ছি,অথচ পরিষেবা নেই। দিনের পর দিন লো-ভোল্টেজ,কোথাও আবার ৩-৪ ঘন্টা লোডশেডিং। বাড়িতে অসুস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ভ্রুক্ষেপ নেই। অথচ আশ্চর্যের বিষয় বিদ্যুৎ দফরের লো-ভোল্টেজ হচ্ছে না!লোডশেডিংও হচ্ছে না।আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে হয়রানী করা হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছি। তবে শীঘ্রই সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে বিদ্যুত দফতরের কর্মচারীদের কে।
অন্যদিকে ঝাঁটা হাতে মারমুখী গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের কোন আধিকারীক কিংবা কর্মচারী মুখ খলতে চায়নি।