২৬ শে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তাঁর আগেই শুভেন্দুর গড় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমানের সাথে বৈঠক করেন অভিষেক ব্যানার্জী। বৈঠকের পরেই সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে অধিকারী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আন্দোলনের জেলা, নন্দীগ্রামের আন্দোলন এবং পরবর্তীকালে রাজ্য রাজনীতির পরিবর্তন হয়েছিল। জেলার অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০২৬ সের নির্বাচনে এই জেলা থেকে আমরা ভালো ফল দেবো, এই আশ্বাস আমরা অভিষেক ব্যানার্জীকে দিয়ে এসেছি।
২০২১ বিজেপি অবকি বার ২০০ পার স্লোগান দিয়েও ১০০ টা সিট পায়নি তাঁর প্রধান কারণ গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী। ওকে নেতা বলে আমি মনে করি না। কোনো আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা নাই। নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে পেছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। কেবিনেট বসে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পলটিক্যাল কেস তুলে নেওয়া হবে। কিন্তু তাঁর পেছনেও চক্রান্ত করেছে শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে সামনে রেখে বেনিফিটেট হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ে কাঁথির ঠান্ডা ঘরে বসে আমাদের শুভেন্দু ইন্সট্রাকশন দিতো। নিজে কখনো আন্দোলনে উপস্থিত হয়নি। এই আন্দোলনকে সামনে রেখে অধিকারীরা তোলা তুলেছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে যখন ফান্ডিং হতো ঐ টাকায় ওরা বড়লোক হয়েছে।
তাঁর আগে ওদের কি ছিল! একটা ঢরঢরে ট্যাক্সি নিয়ে ঘুরতো। ওর রাজনীতির জন্ম হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর নির্ভর হয়ে। কাঁথিতে অমিত শাহর সভা আটকানোর জন্য দিলীপ ঘোষ, অমিত শাহদের কেস দিয়েছিলো। আজ সেই অমিত সাহর পায়ে পড়ছে শুভেন্দু। অভিষেক ব্যানার্জী অনেক আগে ২০১৪ সালে সেটা বুঝে নিয়েছিল। আমি কাঠবিড়ালি হিসেবে সেই ইনফরমেশনটা দিয়েছিলাম। ও তৃণমূল কংগ্রেস করে না, ও অধিকারী কংগ্রেস করছে। তাঁর জন্যই আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করার চেষ্টা হয়েছিল।





