২৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানী তো বটেই, এই দুর্ঘটনাকে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই দুর্ঘটনার জেরে জীবন বিমা বাবদ খরচ হতে পারে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা।
আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা এক পলকে ওলট-পালট করে দিয়েছে সবকিছু। গত বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফের পরই আছড়ে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বোরিং ৭৮৭-৮ বিমান। অভিশপ্ত ওই বিমানে সওয়ার ছিলেন ২৪২ জন যাত্রী। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় ও ৫৩ জন ব্রিটিশ, পর্তুগালের ৭ জন ও কানাডার এক নাগরিক।
পাশাপাশি পাইলট ও বিমান সেবিকা মিলে ছিলেন ১২ জন। এদের মধ্যে ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে বিমান সংস্থা টাটা। তবে পাশাপাশি ১৯৯৯ সালের মনট্রিয়াল কনভেশনের অধীনে বিমা বাবদ মৃতের পরিবারগুলিকে দিতে হবে আরও ১.৮ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে এই কনভেনশনে সাক্ষর করেছিল ভারত।
বিমা কাঠামো অনুযায়ী, প্রধান বিমা সংস্থা টাটা এআইজি মোট বিমার ৪০ শতাংশের দায়িত্বে রয়েছে। বাকি অংশে রয়েছে নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিউরেন্স, আইসিআইসিআই লম্বার্ড, এবং অন্যান্য সরকারি বিমা সংস্থা। সবমিলিয়ে বিমা বাবদ ক্ষতিপূরণের অঙ্ক পৌঁছতে পারে ১০০০ বা ১২০০ কোটিতে।