- Advertisement -spot_img
Homeবিদেশকীভাবে ‘হাইপ্রোফাইল’ মৃত্যুফাঁদ ইজরায়েলের

কীভাবে ‘হাইপ্রোফাইল’ মৃত্যুফাঁদ ইজরায়েলের

- Advertisement -spot_img

নিখুঁত পরিকল্পনায় ইরানকে ধরাশায়ী করার পর ফের একবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। সঠিক সময়, প্রযুক্তি, নিখুঁত তথ্যের ভিত্তিতে চালানো হয় এমন মারণ হামলা। ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে দীর্ঘ বছরের পরিকল্পনার পর চালানো হয়েছে এই হামলা। শুধু তাই নয়, ইরানের শীর্ষ সেনা আধিকারিকদের একত্রিত করার জন্যও জাল বিছিয়েছিল ইজরায়েল।

 

জানা যাচ্ছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর নিখুঁত পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল অনেক আগে। যার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও পরমাণু কেন্দ্রগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া। সেইমতো আগেই ইরানের মাটিতে গোপনে পাঠানো হয় ড্রোন। ইরানেই ইজরায়েলি ড্রোনের গোপন ঘাঁটি তৈরি করা হয়। মোসাদের এজেন্টরা যে সেখানে ড্রোন মোতায়েন করছে তা টেরও পায়নি ইরান। সমস্ত প্রস্তুতি সারার পর ড্রোনগুলি অপেক্ষা করছিল সঠিক সময়ের। এরপর ইহুদি সেনার অনুমোদনে হামলার সময় বেছে নেওয়া হয় বৃহস্পতিবার রাত। মোট তিন ধাপে চলে হামলা। প্রথম ধাপে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্রঘাঁটিকে নিশানা করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ধ্বংস করা হয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তৃতীয় ধাপে আকাশ থেকে নিশানা করা হয় ইরানের মিসাইল লঞ্চারগুলি। প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় ড্রোন।

 

এর পরের ধাপে ইরানের পরমাণু ঘাঁটি ও ইউরেনিয়াম সংক্রান্ত গবেষণাকেন্দ্রগুলিকে নিশানা করে। ইজরায়েলের দাবি প্রায় ২০০টি যুদ্ধ বিমান ইরানের শতাধিক লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে। শুধু তাই নয়, ইরানের সেনাকর্তাদের হত্যা করতেও বড়সড় পরিকল্পনা করে ইজরায়েল। সেনা আধিকারিকদের একজোট করতে পাতা হয় ফাঁদ। সেখানে ভুয়ো বৈঠকের নামে সকল সেনাকর্তাদের একজোট করা হয়। ইজরায়েলের এক আধিকারিক জানান, মোসাদ ইরানের সেনাকর্তাদের মধ্যে গুপ্তচর ছড়িয়ে দেয়।

 

যারা সেনাকর্তাদের বিশ্বাস অর্জন করে। এবং তাঁদের সকলকে একজোট করতে নির্দিষ্ট একটি আবাসনে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সমস্ত পরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ওই দিনেই সেখানে হামলা চলে। এই হামলায় ইরান বিপ্লবী গার্ডের জেনারেল হুসেইনি সালামি, সেনাপ্রধান মহম্মদ বাঘেরি, বায়ুসেনার প্রধান-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের মৃত্যু হয়। মারণ এই হামলাতেই স্পষ্ট যে কীভাবে নিখুঁত ছকে এই হামলা চালিয়েছে মোসাদ ও ইহুদি সেনা। মনে করা হচ্ছে ১৯৮০ সালে ইরাক যুদ্ধের পর ইরানের উপর এটাই সবচেয়ে বড় আঘাত।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
Stay Connected
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
Must Read
- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here