কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় প্রাণ গেল ১৪ জনের। আহত একশোর কাছাকাছি। তিন বছর পেরিয়ে গেলেও লড়াই থামার নাম নেই। একে অপরকে ঝাঁজরা করে দিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন। দু’দেশকে শান্তির পথে আনার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা। মে মাসে শান্তি আলোচনা হয়েছে তুরস্কের ইস্তানবুলে। যা খুব একটা ফলপ্রসু না হলেও বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয় যুযুধান দু’পক্ষ। কিন্তু হামলা পালটা হামলা থামেনি। এর মাঝেই ১ জুন আকস্মিক হামলা চালিয়ে শক্তিধর রাশিয়াকে কাঁপিয়ে দেয় ইউক্রেন।
বায়ুসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’ চালায় জেলেনস্কির দেশ। যাকে মাকড়সা জালের সঙ্গে তুলনা করা হয়। ধ্বংস করে দেওয়া হয় রুশ বোমারু বিমান Tu-95, Tu22M3 ও একটি A-50 বিমান। সেই থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে মস্কো। কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে আগুন ঝরায় রুশ সেনা। ছোড়া হয় ৪৭৯টি ড্রোন, ২০ ক্ষেপণাস্ত্র।
এপি সূত্রে খবর, সোমবার রাতভর কিয়েভে আঘাত হানে রাশিয়া। শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান টাইমুর তাকাচেঙ্কো জানান, এই হামলায় ১৪ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। একটি ৯ তলা বিল্ডিংয়ে মিসাইল আছড়ে পড়ে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্ষোভ উগরে জানিয়েছেন, কিয়েভের বুকে হওয়া অন্য়তম ভয়াবহ হামলা। গোটা রাত ধরে রুশ সেনা ৪৪০ ড্রোন, ৩২টা মিসাইল ছুড়েছে।