ত্বক পরিচর্যায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। এর মধ্যে সহজলোভ্য একটি উপাদান হল বেইকিং সোডা। প্রায় সব রান্নাঘরে থাকা এই উপাদান ব্রণ নিরাময়ে ব্যবহার করা যায়। কারণ এতে রয়েছে প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে “প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বেইকিং সোডা ব্রণ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ‘ব্যাক্টেরিয়া ত্বকের তেল সিবাম গ্রহণ করে ব্রণের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। উপজাত হিসেবে প্রদাহজনক উপাদান নিঃসরণ করে। বেইকিং সোডা এই সমস্যা সারিয়ে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে; বিশেষ করে রসযুক্ত গোলাপি ব্রণ শুকাতে পারে।’
“সাধারণত ব্রণ প্রবণ ত্বক হয় ক্ষারযুক্ত। আর বেইকিং সোডা ক্ষারীয় উপাদান হওয়াতে ত্বকের ভারসাম্য আনতে পারে।”
তবে ত্বকে বিরূপ প্রভাবও ফেলতে পারে বেইকিং সোডা। সাধারণভাবে আমাদের ত্বক ক্ষারীয়। আর ঠিকমতো কার্যক্রম চালাতে এর প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
তাই তিনি সাবধান করেন, ‘মাঝেমধ্যে বেইকিং সোডা ব্যবহার করা উপকারী হলেও প্রতিনিয়ত ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাভাব ও শুষ্কতা তৈরি করতে পারে।’
ত্বকের স্বাভাবিক সুরক্ষক অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে ঠিক মতো কাজ নাও করতে পারে। তাই বেইকিং সোডা ব্যবহারে যেমন সংযোমী হতে হবে তেমনি প্রয়োগের নিয়মও জানতে হবে।
ব্রণ নিরাময়ে বেইকিং সোডা ব্যবহার পদ্ধতি-
প্রথম ও প্রধান বিষয় হল যদি তৈলাক্ত ত্বক হয় তবেই বেইকিং সোডা ব্রণ কমাতে ব্যবহার করা যাবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই উপকারণ সঠিক নয়।
“দ্বিতীয়ত বেইকিং সোডা ব্যবহার করতে হবে নির্দিষ্ট আক্রান্ত স্থানে, নির্দিষ্ট ব্রণে। ফেইস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না”।
আধা চা-চামচ পরিমাণ বেইকিং সোডাতে যথেষ্ট পরিমাণে জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ব্রণের ওপর মেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। আর এটা করা যাবে সপ্তাহে একবার।
মোদ্দা কথা হল
“কোনো এক উৎসবের সকালে উঠে যদি দেখা যায় কপালে ব্রণ হয়েছে তবে সেখানে বেইকিং সোডা ব্যবহারে শুকাতে সাহায্য করবে”।