আমেদাবাদের ধ্বংসস্তূপ থেকে ব্ল্যাক বক্সের দ্বিতীয় খন্ড এফডিআর উদ্ধার হল। ধ্বংসস্তূপ সরাতে গিয়ে আমেদাবাদ পুরসভার সাফাই কর্মীরা ওই এফডিআর খুঁজে পায়। সঙ্গে সঙ্গে তা তারা কর্তব্যরত পুলিশকে দিয়ে দেয়। এরপরই অন্যতম তদন্তকারী সংস্থা এ এ আই বিকে হস্তান্তর করে পুলিশ। ওই এফ বি আর বক্সটি ডিকোডিং করবেন তদন্তকারী অফিসারেরা। হবে তার ফরেনসিক পরীক্ষাও।
ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় একের পর এক শরীরের অংশ মিলছে। সেই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে একাধিক পুড়ে যাওয়া নোট এবং ডলারও।
মেঘানি নগরে ডাক্তারি পড়ুয়াদের যে হোস্টেলের মাথায় পড়েছিল বিমানের অংশ তা ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। হোস্টেলে থাকা ডাক্তারি পড়ুয়ারা তাদের অবশিষ্ট মালপত্র খোঁজ করতে গেলে দেখেন ইতস্তত বিক্ষিপ্ত দেহের অংশ পড়ে। দুর্গন্ধময় পরিবেশ। এমন পরিস্থিতি যে বমি চলে আসবে। এই অবস্থার মধ্যেই ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করে চলেছেন পুরো কর্মীরা।
এদিন সকাল থেকেই আমেদাবাদের সিভিল হসপিটাল এর সামনে পরিজনদের দেহ ফিরে পেতে তাদের পরিবারের লাইন পড়ে যায়। প্রত্যেকেরই ডিএনএ পরীক্ষা প্রায় শেষ। রিপোর্টও মিলেছে। কিন্তু যে দেহাংশের খন্ড মিলেছে সেখান থেকে দেহ অনেক ক্ষেত্রেই ডিএনএ সঙ্গে মেলানো সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাতে পারছেন না কবে তাদের পরিবার পরিজন মৃতদেহ হাতে পাবে। তবে এরই মধ্যে সোমবার গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির মৃতদেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রুপানির বোনের ডিএনএ নিয়ে পরীক্ষা করে মিলে যায়। এরপরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেহ তুলে দেওয়া হয় তার পরিবারের হাতে। আমেদাবাদ থেকে অ্যাম্বুলেন্স প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজকোটে। সেখানেই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কাজ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ওই শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে গুজরাট মন্ত্রিসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।