মধ্যপ্রাচ্য কি আমেরিকার দাবার ঘুঁটি? ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে শুরু থেকেই নাক গলাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে, বেঁধে যাতে পারমাণবিক যুদ্ধ, ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী। সেই আশঙ্কায় বৃহস্পতিবারই ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। এর মধ্যেই আশার আলো—ইউরোপের তিন দেশের সঙ্গে শুক্রবার জেনেভায় বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে ইরান। তবে কি খুব শিগগিরই যুদ্ধবিরতি?
ট্রফিটিতে শচীনের ‘আইকনিক’ কভার ড্রাইভ এবং অ্যান্ডারসনের বোলিং অ্যাকশনের ছবি রয়েছে। রয়েছে দুই ক্রিকেট গ্রেটের সইও। ভারত এবং ইংল্যান্ড দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসিবি এবং বিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই তেণ্ডুলকর-অ্যান্ডারসন ট্রফি। এখন থেকে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে টেস্ট সিরিজ হবে এই নামেই। আগে ইংল্যান্ডে দুই দেশের মধ্যে টেস্ট সিরিজ হত পতৌদির নামে। ভারতে সিরিজটি হত ডি মেলো ট্রফি নামে।”
মাস দুই আগে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড ট্রফিটি বাতিল করার কথা ভাবছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজের ঐতিহ্যের প্রতীক এই এমএকে পতৌদি ট্রফি। ২০০৭ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের টেস্ট সিরিজের নামকরণ করা হয় পতৌদি ট্রফি। কিংবদন্তি মনসুর আলি খান পতৌদির সম্মানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছিল, আসন্ন টেস্ট সিরিজ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। সেই সিদ্ধান্তেই আজ সিলমোহর পড়ল। যদিও ইংল্যান্ড বোর্ডের তরফে বর্তমান সিদ্ধান্তের আগে তাদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। প্রয়াত পতৌদির স্ত্রী শর্মিলা ঠাকুর এ ব্যাপারে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এমনকী এ ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের হস্তক্ষেপও দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকে বসবেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। এই বৈঠক হবে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। যেখানে উপস্থিত থাকবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক কাজা কাল্লাস। একটি সূত্র জানাচ্ছে, তিন দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে ইরানের যে বৈঠক হতে চলেছে, তাতে সহযোগিতায় রয়েছে আমেরিকাও। ইরান এই বৈঠকে রাজি হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তারা কি আমেরিকা, ইজরায়েল-সহ পশ্চিম বিশ্বের চাপে শেষ পর্যন্ত মাথা নত করল?
সূত্রের খবর, বৈঠকের উদ্দেশ্যই হল ইরানের থেকে পরমাণু সমৃদ্ধিকরণ নিয়ে প্রতিশ্রুতি আদায় করা। বিদ্যুৎ উৎপাদন তথা নাগরিকদের প্রয়োজন ছাড়া আর কোনও কাজে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা হবে না, তেহরানের থেকে এই প্রতিশ্রুতি চায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। প্রশ্ন হল, ইরান কি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিতে ইতি টানতে রাজি হবে? ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে, এমন আশঙ্কা থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের শুরু। হামলা চালায় ইজারায়েল।
আমেরিকাও ক্রমাগত চাপ দিয়ে তেহরানকে আণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল। যদিও তারা তা মানেনি। এদিকে যুদ্ধ ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রেও হামলা চালিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা। অন্যদিকে ইজরায়েলের হাসপাতালে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমেরিকা এখনও ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি হামলা না চালালেও শঙ্কিত গোটা বিশ্ব। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধই কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্ম দেবে?