পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের ভগবন্তপুর ১ এবং ২, বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত, চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের মানিককুন্ডু মনোহরপুর ১ এবং ২ সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। প্লাবিত এলাকাগুলিতে স্পিড বোটে শুকনো খাবার পানীয় জল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
চন্দ্রকোনা ১ এবং ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। কৃষি জমি জলের তলায়। বিভিন্ন এলাকায় কাঠের এবং বাঁশের সাঁকো ভেসে গিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু মানুষকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। ঘাটালে স্লুইস গেট বিষয়ে মহকুমা শাসক বলেন, আরেকটা প্রটেকশন ওয়াল তৈরি করা হয়েছে। স্লুইস গেটে যে গেট ছিল সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘাটাল ব্লকের রাধানগর কুঠিঘাট এলাকা প্লাবিত। ওই এলাকায় বন্যার জল সাধারণত আসে না বলে জানিয়েছেন বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রশান্ত রায়। বেশ কয়েকটি পরিবারকে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে রাখা হয়েছে। রাধানগর কুঠিঘাট রাস্তা জল প্লাবিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার দুটি ব্লকের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত। দুটি রাজ্য সড়কে জল উঠেছে।
বিভিন্ন প্লাবিত এলাকায় শুকনো খাবার এবং পানীয় জল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্পিড বোটে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ মোতায়েন আছে। ঘাটালে জল বাড়ার আশঙ্কা আছে। ঘাটাল পৌরসভার নিচু এলাকাগুলিতে জল প্রবেশ করেছে। ঝুমি নদীর জলে পাশাপাশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে প্রশাসন সতর্ক আছে বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।