আমেরিকার সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘সফল ভাবে’ হামলা চালিয়েছে। ভারতীয় সময় রবিবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানালেন, “আমেরিকা ইরানের তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। আমেরিকার সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, ইরানের ওই তিন পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রগুলি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে মার্কিন সেনা। অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত এই ধরনের অভিযান চালাতে পারেনি। আর কোনও সেনার পক্ষে এটা সম্ভবও হত না।” একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন, “এবার শান্তির সময়।”
মার্কিন ‘যোদ্ধা’দের শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্প দাবি করলেন, ‘এখন শান্তির সময়।’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ইরানের আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় আমেরিকা নিশানা সেধে রেখেছে। ইরান যদি শান্তির পথে না ফেরে তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হবে। আমেরিকা এবার দ্রুততার সঙ্গে প্রাণঘাতী হামলা চালাবে। সূত্রের খবর, হামলার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও কথা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এদিকে মার্কিন হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইরানও। তবে তেহেরানের দাবি, এই হামলা প্রত্যাশিত ছিল। এবং তাতে বিশেষ ক্ষতি হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শুক্রবারই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র গবেষণা বন্ধের জন্য দু’সপ্তাহ সময় দিতে চান তিনি। কিন্তু সেই সময়সীমার অনেক আগেই ইরানে হামলা চালিয়ে দিল মার্কিন সেনা। পালটা শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের হুঁশিয়ারির সুরেই বলে দেন, ‘পারমাণবিক কার্যকলাপ কোনওভাবেই বন্ধ করা হবে না।’ সম্ভবত পেজেশকিয়ানের সেই বার্তার পরই ট্রাম্প ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নেন।