ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক পথে দ্রুত সমাধানের রাস্তা খোঁজার পরামর্শ দিলেন। রবিবার ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের পর এক্স হ্যান্ডেলে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিশদে আলোচনা করেছি। বর্তমানে ওই অঞ্চলে যেভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমাদের আবেদন এই উত্তেজনা হ্রাস করতে আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে হাঁটুক দেশগুলি।
আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।’ উল্লেখ্য, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা এই যুদ্ধে শুরু থেকেই নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছে ভারত। একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মেতে ওঠা দুই দেশই ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ফলে শুরু থেকেই এই যুদ্ধ থামাতে দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে নয়াদিল্লি। আবেদন জানানো হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার। তবে যময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যাচ্ছে।
রবিবার ভোররাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বোমারু বিমান বি-২। মাটির নিচে অবস্থিত এই স্থাপনাগুলি ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়েছে আমেরিকার বিধ্বংসী বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা। আমেরিকাকে এর পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এমনকি বিশ্বব্যাপী তেল রপ্তানির অন্যতম হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এই প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে তা ভারতের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের। ভারত সরাসরি ইরান থেকে খুব বেশি তেল আমদানি না করলেও, ভারতকে নিজের চাহিদার ৮৫ শতাংশের বেশি তেল বাইরে থেকে কিনতে হয়। এই আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশ হরমুজ প্রণালী (বাণিজ্য পথ) দিয়ে আসে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ বাণিজ্য এই পথ দিয়ে হয়। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এই যুদ্ধের জেরে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে ভারতের বাণিজ্য বিরাট বাধার সম্মুখীন হবে। ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সাপ্লাই বাধাপ্রাপ্ত হবে। যার প্রভাব সরাসরি পড়বে দেশের অর্থনীতিতে।