তাঁর আমলে বাংলাদেশকে ‘ফাঁদে’ ফেলতে পারেনি বেজিং। কিন্তু মুজিবকন্য়ার পতনের পর ওপার বাংলার রাজনীতি থেকে কূটনীতি সবটাই আমূল বদলে গিয়েছে। ঢাকায় এখন ভারত বিরোধীতার হাওয়া। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আসরে নেমে পড়েছে চিন। হাসিনাহীন বাংলাদেশে এখন আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে চিনা আধিকারিকদের। তাঁরা ঘনঘন বৈঠক করছেন বিএনপি, জামাতের মতো দলগুলোর সঙ্গে।
কয়েকদিন আগেই বেজিংয়ে গিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। দ্রুত নির্বাচন নিয়ে মহম্মদ ইউনুসের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল? বিএনপির ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, “সফরটি খুবই ভালো হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আমরা যদি সরকার গঠন করি তাদের যেন প্রবেলেম না হয়, ধারাবাহিকতা যেন থাকে, এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। তারাও বিষয়টি ইতিবাচক বলেছে।
” বিএনপির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের এই সফর ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে। এনিয়ে চিনে বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ বলেন, “প্রথমত চিনকে নিয়ে বাংলাদেশের দলগুলো কী ভাবছে সেটা বোঝার চেষ্টার করা, দ্বিতীয়ত তাদের স্বার্থগুলো আছে সেগুলোর ধারাবাহিকতা কীভাবে থাকবে সেটা নিয়ে আলোচনা করা।