ব্যাপক ভিড়, ঠেলাঠেলি। যেমনটা হয় অনেকক্ষেত্রেই, তেমনটাই বুঝি! ভিড়ের অংস যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও আগের মুহূর্তে ভাবতে পারেননি, ঠিক কোন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। যতক্ষণে বুঝলেন, ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত জানা গিয়েছে, চিন্নাস্বামী কাণ্ডে প্রাণ গিয়েছে ১১ জনের। আহত ৩৩জন। কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে এই তথ্য। ঘটনা প্রসঙ্গে সরকার পক্ষ বার্তা দিয়েছে, সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরাও।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। পিএমও ইন্ডিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রিয়জনদের হারিয়েছেন যাঁরা তাঁদের সমবেদনা জানিয়েছেন, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কর্ণাটক বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি আঙুল তুলেছে কংগ্রেসের দিকে। পোস্টে লেখা, ‘ বাইরে যখন নিরপরাধ মানুষেরা মারা যাচ্ছিলেন, তখন শিবকুমার-সিদ্দারামিয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে রিল শুটিং এবং লাইমলাইটে ব্যস্ত ছিলেন। এই ছবি তোলা কংগ্রেস সরকারের প্রতি লজ্জা। এটা অপরাধমূলক অবহেলা। কংগ্রেস সরকারের হাতে রক্ত লেগে আছে।’
যদিও মর্মান্তিক ঘটনার পরেই শিবকুমার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। হাসপাতালেও গিয়েছি। যারা আহতদের চিকিৎসা করছেন সেই ডাক্তারদের বিরক্ত করতে চাইনি। কতজন মারা গিয়েছেন বা আহত তা এখনই বলা সম্ভব নয়। সবাইকে বলব শান্ত থাকুন। অনুষ্ঠান শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই দশ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করে দেওয়া হয়।’
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ঘটনায় সরাসরি আঙুল তুলেছেন কর্ণাটক সরকারের দিকে। অভিযোগ কর্ণাটক সরকারের পুওর প্ল্যানিং, চরম অব্যবস্থার কারণেই এই পরিণতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জোশী লিখেছেন, ‘উদযাপন এক জিনিস, কিন্তু রাজ্য সরকার সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই, জরুরি পরিষেবাগুলিকে ঠিকমতো ব্যবহার না করে না নিয়ে এই দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি এড়ানো যেত। এর জন্য সরকার দায়ী এবং সরকারকে এর জন্য জবাব দিতে হবে। ‘ কংগ্রসকে নিশানা করেছেন বিজেপির অমিত মালব্যও।