জিএসটি কাঠামোয় বড়সড় রদবদল করতে পারে। সেটা হলেই বিপাকে পড়তে পারেন ‘নেশাখোর’রা। আসলে জিএসটি-তে কমপেনসেশন সেসের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এর বদলে হেলথ অ্যান্ড এনার্জি সেস আনার পরিকল্পনা কেন্দ্রের। একই সঙ্গে আনা হতে পারে ক্লিন এনার্জি সেস।
হেলথ অ্যান্ড এনার্জি সেস মূলত বসানো হবে ‘সিন গুডস’, অর্থাৎ শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে যে পণ্যগুলিকে ধরা হয় সেই পণ্যগুলির উপর। ‘সিন গুডস’ হিসাবে ধরা হয় মদ, সিগারেট ও তামাকজাত অন্য পণ্য যেমন খৈনি, গুটকা এসবের উপর। এই পণ্যগুলি এমনিই জিএসটির ২৮ শতাংশের স্ল্যাবে পড়ে। উপর অতিরিক্ত সেস বসলে একধাক্কায় দাম অনেকটা বাড়তে পারে। এমনকী সিগারেটের দাম দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে।
এর বাইরে দাম বাড়তে পারে দামি গাড়িরও। কেন্দ্র দামি গাড়ির উপর ক্লিন এনার্জি সেস বসাতে পারে। সেটা মূলত পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে। আসলে কেন্দ্র সরকার চাইছে পুননবীকরণযোগ্য শক্তির গাড়িঘোড়ার সংখ্যা বাড়াতে, যাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই পেট্রলজাত গাড়িতে অতিরিক্ত সেস বসানো হতে পারে। একসঙ্গে এই দুই সেস কার্যকর হয়ে গেলে তামাকজাত, মদ এবং বিলাসবহুল গাড়ির দাম একসঙ্গে বেড়ে যাবে।
একদিকে যেমন ‘সিন গুডসে’র দাম বাড়তে পারে অন্যদিকে তেমনই প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমতে পারে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রের দাবি, জিএসটি কাউন্সিলের আগামী বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
ফলে একলাফে দাম কমবে বহু কিছুরই। যার মধ্যে রয়েছে টুথপেস্ট, টুথ পাউডার, ছাতা, সেলাই মেশিন, প্রেশার কুকার, বাসনপত্র, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, স্বল্পক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াশিং মেশিন, বাইসাইকেল, ১ হাজার টাকার বেশি মূল্যের কাপড়, ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা মূল্যের জুতো, স্টেশনারি দ্রব্য, টিকা, সেরামিক টাইলস ইত্যাদি। সূত্রের দাবি, এর ফলে ৪০ হাজার কোটি থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো বাড়তি চাপ বাড়বে সরকারের উপরে। সেটা অবশ্য পুষিয়ে যাবে ওই অতিরিক্ত সেসে।