ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে গিয়ে বিহারের ভোটের একটি রাজনৈতিক সেতু তৈরি করলেন নরেন্দ্র মোদি। ত্রিনি দাদের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসের। ভাষণ দিতে গিয়ে কমলা প্রসাদ কি তাই মোদি বললেন বিহার কি বেটি। যখন এই সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী তখন হাত পা দিতে মুখরিত অডিটোরিয়াম। মোদি মনে করিয়ে দিলেন ভারত এবং বিহারের সঙ্গে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এ বছরের শেষে বিহারে ভোট। সম্ভবত সে কথা মাথায় রেখে মোদি কৌশলে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী কে বিহার কি বেটি বলে সম্বোধন করলেন। অর্থাৎ বিশ্ব দরবারে এই দেশটিকে তুলে আনলেন মোদি বিহারের সঙ্গে তুলনা করে। কারণ এবছরের শেষেই তো বিহারে ভোট।
বিহারের বক্সারের কন্যা টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসের।সে কোথাও এদিন মোদি তার ভাষণে বলেছেন। ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কবিসত্তাকে প্রকাশ করেছেন তার বক্তৃতায়। প্রধানমন্ত্রীর লেখার কবিতা উদ্ধৃতি দিয়ে ত্রিনিদাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কিভাবে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ওই কবিতার মধ্যে প্রধান নরেন্দ্র মোদির স্মৃতিকথা এবং অতীতের সংগ্রাম লিপিবদ্ধ। সব কবিতায় তিনি লিখেছেন গুজরাটি ভাষাতে।
ভারত এবং ত্রিনিদাদের মধ্যে যে আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে সে কথা স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে ঘানাতে মোদিকে ওই দেশের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করা হয়। ঘানার সঙ্গে ভারতের নতুন করে বাণিজ্যিক চুক্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। ঘানা বাসীদের অভিযোগ চীন ঋণের জালে তাদের দেশকে প্রায় দেউলিয়া করে দিচ্ছে। ভারতেই পারে চীনকে আটকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে।
অতীতের ইতিহাস বলছে ঘানার প্রেসিডেন্ট হাউস যা যুবিলী হাউস নামে পরিচিত তা নির্মাণে ভারত দিয়েছিল আর্থিক সহায়তা। সেই সঙ্গে ভারতী তৈরি করে দিয়েছিল একাধিক প্রশাসনিক ভবন। ঘানার মানুষ ভারতের পাশে থাকার কথা আজও ভোলেনি।
চীন পশ্চিম আফ্রিকার এই দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর উপর একচ্ছত্র বাণিজ্য নীতি কায়েম করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এইসব দেশে যাওয়ার পর চীনের সরকারি গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ভারতকে নিয়ে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আফ্রিকার বাজারে চীনের একাধিকত্ব শেষ করতে আসছে ভারত। অর্থাৎ চীন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে তা বলা বাহুল্য। আফ্রিকার দেশগুলি জানে ভারত বাণিজ্য চুক্তি করলেও অতিরিক্ত শুল্ক বসাবে না। ঋণের জালে জড়িয়ে দেবে না আফ্রিকার দেশ গুলিকে। বরং বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প উপহার দেবে ভারত। এইসব কারণেই চীন ভয় পেয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।