ভালোবাসা আদায় করে নেওয়ার এক আলাদা ক্ষমতাই থাকে ওদের। সেই তালিকায় অন্যতম কুকুর। কখনও দস্যিপনা, কখনও আবার অভিমান, কখনও নিখাদ আদর নিয়ে গোটা পরিবারকে এক অদ্ভুত মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে ফেলে ওরা। কিন্তু এই বন্ধন যে বেশি দিনের হয় না। কারণ, বয়স পনেরো পেরতে না পেরতেই অধিকাংশই ছেড়ে যায় প্রিয়জনদের। কারওক্ষেত্রে সময়টা আরও কম। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক কোন ১০ প্রজাতির কুকুর সব থেকে কম আয়ু নিয়ে আসে।
১. বার্নিস মাউন্টিং ডগ- অত্যন্ত ধৈর্যশীল এই প্রজাতির কুকুর। শিশুদের সঙ্গ পেতে দারুণ ভালোবাসে। কিন্তু আয়ু? তথ্য বলছে, এদের আয়ু ৬ থেকে ৮ বছর। মূলত ক্যানসারই প্রাণ কাড়ে এদের।
২. গ্রেট ডেন- এরা মূলত শিকারি কুকুর। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো এই প্রজাতির কুকুর মূলত শুয়োর শিকারের জন্য ব্যবহার করা হত। এদের জীবনও কম-বেশি ৬ থেকে ৮ বছরের। মূলত হাড় ও হার্টের সমস্যার কারণেই এদের মৃত্যু হয়।
৩. আইরিশ উলফহাউন্ড- আয়ারল্যান্ডের এই প্রজাতি কুকুরদের মধ্যে দীর্ঘতম। এদের আয়ু ৬ থেকে ৮ বছর। এদেরও অল্প বয়সেই হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।
৪.ম্য়াস্টিফ- এই প্রজাতি বৃহদাকার। এরা অত্যন্ত লয়াল হয়। এদের জীবনকাল হয় ৬ থেকে ১০ বছর। এদেরও হার্টের সমস্যা দেখা যায়।
৫.সেন্ট বার্নার্ড- এরা অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের হয়। সহজেই পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে। ওজনের জন্য এদের নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এদের আয়ু ৮ থেকে ১০ বছর।
৬. নিউফাউন্ডল্যান্ড- অত্যন্ত ভারী লোমে ঢাকা এই প্রজাতির কুকুরদের পশম। এদের হার্ট ও হাড়ের সমস্যা দেখা যায়। জীবনকাল ৮ থেকে ১০ বছর।
৭. স্কটিশ ডিয়ারহাউন্ড- স্কটিশ ডিয়ারহাউন্ড হল স্কটল্যান্ডের প্রজাতি। এটি দেখতে গ্রেহাউন্ডের মতো, কিন্তু আকারে বড় ও শক্তিশালী। এই কুকুরগুলি মূলত হরিণ শিকারের জন্য ব্যবহৃত হত, তাই তাদের নামকরণ করা হয়েছে ‘ডিয়ারহাউন্ড’। এরা ৮ থেক ১১ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
৮. ডগ দে বোর্দো- এটি ফ্রান্সের অন্যতম প্রাচীন কুকুরের প্রজাতি। শক্তিশালী এবং পেশিবহুল। এরা শান্ত হয়। এরা ৫ থেকে ৮ বছর বাঁচে।
৯. বুলম্যাস্টিফ- এটি ম্যাস্টিফ এবং বুলডগের সংকর। এরা অত্যন্ত সাহসী স্বভাবের। এদের জীবনকাল ৭ থেকে ৯ বছর।
১০. গ্রেটার সুইস মাউন্টিং ডগ- সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম প্রজাতির কুকুর এটি। এদের স্বভাব অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। এরা বাঁটচে ৮ থেকে ১১ বছর।