টানা বর্ষণ, সঙ্গে ধস। পুজো শেষ হতেই ফের বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়িগামী জাতীয় সড়কে একাধিক জায়গায় ধস নেমে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। অনেকেরই ট্রেন ও বিমান ধরার কথা রয়েছে। ফলে তাঁরা আদৌ সময়মতো রেলস্টেশনে বা বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারবেন কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতেই সেবকের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর টানা বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার কারণে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ির কাছে দুধিয়ায় লোহার সেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে খবর মিলেছে। ফলে শিলিগুড়ি-মিরিক সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী সড়কে দিলারামের কাছে ধস নেমেছে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোহিণী রোডও। পুলবাজার সেতুটিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিজনবাড়ি সহ আশেপাশের এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যেই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের ফলে সেই কাজ বারবার ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে টাইগার হিল, রক গার্ডেন এবং দার্জিলিংয়ের অন্যান্য পর্যটনস্থলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত পর্যটকদের এই সমস্ত জায়গায় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বৃষ্টিতে ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।





