POK-এর আন্দোলনকারীদের কাছে নতিস্বীকার শাহবাজ সরকারের। শনিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হল ‘শান্তি চুক্তি’। জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীরা যে দাবিগুলি জানিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগই মেনে নিয়েছে পাক সরকার। বুধবার শাহবাজ সরকারের তরফে একটি প্রতিনিধি দল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে। ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ। টানা দু’দিন আলোচনার পর অবশেষে শনিবার স্বাক্ষরিত হয় এই ‘শান্তি চুক্তি’। জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীদের ৩৮ দফা দাবির মধ্যে ২১টি দাবিই মেনে নিয়েছে সরকার।
এই চুক্তি অনুযায়ী, বিক্ষোভের জেরে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করবে সরকার। পাশাপাশি, যারা ভাঙচুর এবং হিংসায় উসকানি দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত করা হবে। এই চুক্তির একটা বড় প্রভাব পড়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদ এবং পুঞ্চ অঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন দুটি শিক্ষা বোর্ড। যেগুলি হল – ইন্টারমিডিয়েট এবং সেকেন্ডারি। শিক্ষার পাশাপাশি নজর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অধিকৃত কাশ্মীরে ফ্রি হেলথ কার্ড প্রকল্প চালু করা হবে। প্রতিটি জেলায় স্থাপন করা হবে সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই যন্ত্র। অন্যদিকে, অধিকৃত কাশ্মীরে বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নতির জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে শাহবাজ সরকার। এগুলি ছাড়াও গোটা অঞ্চলের সামগ্রিক পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছে পাক সরকার।





