বছর ঘুরলেই ২০২৬-এর নির্বাচন। পুজো শেষ হতেই শুরু হয়েছে ভোটের কাউন্টডাউন। রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতির পারদ। সব রাজনৈতিক শিবিরেই চলছে সংগঠন মজবুত করার তৎপরতা। বিজেপিকে সরিয়ে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে জয় তৃণমূলকে দিয়েছে নতুন অক্সিজেন। সেই সাফল্যের পর এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একযোগে লড়াইয়ের ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে জেলায় শুরু হয়েছে তৃণমূলের কর্মসূচি। তবে গত কয়েক বছরে দলের অন্তঃকোন্দল ও পদ নিয়ে টানাপোড়েন তৃণমূলকে একাধিকবার বিপাকে ফেলেছে। জেলার কয়েকটি জায়গাতে সেই প্রভাব পড়েছে ভোটের ফলাফলেও-এমনই তথ্য উঠে আসছে দলের অন্দরের পর্যালোচনাতেও।
বুধবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া তৃণমূল ভবনে দলের নবনিযুক্ত ব্লক সভাপতি ও অন্যান্য পদাধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন জেলা সভাপতি তারাশংকর রায়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। সভায় দলীয় কর্মীদের সতর্কবার্তা দেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট বা লেখা দিলেই নেতা হওয়া যায় না। মানুষের জন্য কাজ করুন। মানুষই আপনাকে মনে রাখবে। দলের আলোচনা দলের মধ্যেই করুন, বাইরে নয়। তিনি আরও বলেন, পুরনো কর্মীরাই তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন। তাঁদের সম্মান জানাতে হবে, তাঁদের আশীর্বাদ নিয়েই দলকে এগিয়ে নিতে হবে।
তৃণমূল জেলা সভাপতি জানান, মুঠোফোনের রাজনীতির যুগে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে বড় নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, কিন্তু বাস্তবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশেরও মত, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে যতটা সক্রিয় রাজনীতি চলছে, মাঠে তাদের ততটা দেখা যাচ্ছে না। পরে তৃণমূল জেলা সভাপতি নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য দলের সংগঠনকে মজবুত করা। দলের জন্য ভাবতে হবে, দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মাঠে লড়াই করতে হবে। এদিকে তৃণমূলের এই প্রস্তুতি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুপ্রভাত পাত্র বলেন, ২৬-এর বিসর্জনের ঘণ্টা বেজে গেছে, সেটা তৃণমূল বুঝে ফেলেছে। তাই ভয় পেয়ে এইসব বলছেন জেলা সভাপতি। জনগণ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, সেটাই এখন ওরা টের পাচ্ছে।





