পুলিশের কাজে বাধা এবং পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেপ্তার করল আউশগ্রাম থানার পুলিশ। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম গোলাম মোল্লা। তার বাড়ি আউশগ্রামের বেলেমাঠ গ্রামে।
গোলাম মোল্লা অমরপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি পদে রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ অমরপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান এবাদত শেখকে বেলেমাঠ মোড়ে ব্যাপক মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। তারপর জখম এবাদত শেখকে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। এনিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান এবাদত শেখের স্ত্রী মোমেনা বেগম।
আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বপরিবারে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন এবাদত শেখ। আর এবাদত শেখকে মারধরের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আনামত শেখ ওরফে বাবুকে অক্টোবর মাসের ১ তারিখ পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে আনার সময় ধৃত অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি গোলাম মোল্লার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলেই অভিযোগ। তাতে একজন এসআই সদানন্দ দে সহ অনান্য পুলিশ কর্মীরা জখম হন। সেসময় পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্ত আনামত শেখকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এরপরেই পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাতে গোলাম মোল্লাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধান এবাদত শেখের উপর হামলার ঘটনায় জাকির মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বেলেমাঠের বাসিন্দা ধৃত জাকির মোল্লাকে বুধবার রাতে বাড়ি থেকে ধরে পুলিশ। ধৃত গোলাম মোল্লা ও জাকির মোল্লাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয় বৃহস্পতিবার। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের অর্ন্তকলহ ফের প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।





