সাম্প্রতিক হড়পা বানে বিপর্যস্ত হলেও ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলো আজ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব ও ভুল তথ্যের কারণে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়েছে, মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে উল্টো বাড়ি প্লাবিত হয়েছে, আবার কোথাও ফানসিটি পুরোপুরি প্লাবিত হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাস্তবে এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো সুরক্ষিত রয়েছে।
ডুয়ার্সের বিভিন্ন রিসোর্ট, হোমস্টে, রাস্তা, নজর মিনার ও ইকোপার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫ অক্টোবরের হঠাৎ বানে নদীর জল কিছুটা প্রবেশ করলেও তা সাময়িক এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ফলে কিছু ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো এখন পুনরুদ্ধারের পথে।
পর্যটন আকর্ষণ বাড়াতে ডুয়ার্স ফানসিটিতে চালু হয়েছে টয় ট্রেন পরিষেবা। পাশাপাশি গরুমারা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল সাফারিও পুনরায় শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন কালীপুজোর আগে পর্যটক সংখ্যা বাড়বে এবং কেন্দ্রগুলো আবার প্রাণ ফিরে পাবে।
পর্যটন ব্যবসায়ী শেখ জিয়াউর রহমান বলেন, ডায়না নদীর জল আমাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল, তবে মেরামতের পর সব স্বাভাবিক। নতুন উদ্যোগে আশা করি পর্যটকরা আবারও ফিরে আসবেন। কলাবাড়ির বাসিন্দা প্রতিমা ছেত্রীও জানান, জল কিছুক্ষণের মধ্যেই নেমে গেছে, সবকিছু ঠিক আছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বিশ্বাস করেন, গুজব দূর হওয়া এবং নতুন আকর্ষণগুলো পর্যটকদের ফিরিয়ে আনবে এবং ডুয়ার্সের পর্যটন জীবন আবার স্বাভাবিক হবে।





