- Advertisement -spot_img
Homeরাজনীতিমুখ্যমন্ত্রী এখন বাংলা সবচেয়ে বড় বোঝা, আর এর থেকে মুক্তি পেতে হলে...

মুখ্যমন্ত্রী এখন বাংলা সবচেয়ে বড় বোঝা, আর এর থেকে মুক্তি পেতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাড়াতে হবে

- Advertisement -spot_img

‘বাংলার সব আছে৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী এখন বাংলা সবচেয়ে বড় বোঝা৷ আর এর থেকে মুক্তি পেতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাড়াতে হবে৷ আর সেটা গণতান্ত্রিকভাবে৷ ভোটে হারিয়ে৷ আমাদের গণতান্ত্রিক দেশ৷ এখানে জামাতিদের নিয়ে বঙ্গভবনে ঢুকে পড়া যায় না৷ তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই মুখ্যমন্ত্রীকে তাড়াতে হবে৷ তবেই এই লজ্জা থেকে আমরা মুক্তি পাব’।

 

দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবাদে ধরনা দিতে গিয়ে এভাবেই সরাসরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজের দায়িত্ব পালন করেননি৷ তাই বিরোধী দলনেতা হিসেবে, সেই দায়িত্ব পালন করতে এসেছি।

 

পুলিশ তার কাজ করছে৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে, তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী কি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন? ওঁর চাটার্ড ফ্লাইট আছে৷ গতকাল হাসিমারায় গেলেন সেই ফ্লাইটে৷ নিজের সফরসূচিতে সামান্য বদল করে উনি অন্ডাল বিমানবন্দরে নেমে নির্যাতিতা বোনটির সঙ্গে দেখা করতে পারতেন৷ উনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সেই অধিকারে যে চিকিৎসকরা নির্যাতিতার চিকিৎসা করছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন৷ তাঁর বাবাকে আশ্বস্ত করতে পারতেন৷ সেসব উনি করেননি৷ তাই বাধ্য হয়ে আমাকে আসতে হল’। নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এ দিন দুর্গাপুরে যান শুভেন্দু৷ পাশাপাশি, নির্যাতিতার বাবার সঙ্গেও কথা বলেন।

 

দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্ব চলছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি বলেন, ‘দুর্গাপুরের এই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ চলে৷ কলেজের ভিতরে তৃণমূলের গুন্ডারাজ চলছে৷ সজ্জন ব্যক্তি ঝুনঝুনওয়ালা এই কলেজ বিক্রি করে চলে যেতে চাইছেন৷ দুর্গাপুরে আর কোন-কোন কলেজে ভাইপো-রাজ চলছে, তা সবাই জানে’। এদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন না। মেয়েকে নিয়ে ওড়িশায় ফিরে যেতে চান তাঁরা।

 

এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। বিরোধী শিবির রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘খুবই স্বাভাবিক৷ বাংলার অধিবাসী হোক আর বাইরের রাজ্য থেকে শিক্ষা বা কর্মসূত্রে আসা মা-বোনেরা, কেউ এখানে নিরাপদ বোধ করেন না৷ তাই বাধ্য হয়ে ওঁর মতো সকল বাবা মেয়েকে এ রাজ্যে রাখতে চাইবেন না৷ আর এটা বাঙালি হিসেবে আমার কাছেও খুব লজ্জার’। তিনি আরও জানান, পরিবার চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও মেয়েকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুবনেশ্বর এইমসে-এ নিয়ে যেতে চাইছে। বর্তমানে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল, তিনি খাওয়া-দাওয়া করছেন। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, এত বড় ঘটনা ঘটার পরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে ফোনে বা সরাসরি যোগাযোগ করেননি।

 

অন্যদিকে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু নিজে ফোন করে সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং ছাত্রীর ভবিষ্যতের দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি, তদন্তে গাফিলতির অভিযোগও তুললেন দুর্গাপুরে নির্যাতিতার বাবা। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার তুলনা টেনে বললেন, ‘এখানে তো ঔরঙ্গজেব শাসন চলছে। আমার ওড়িশা খুব ভাল’। নির্যাতিতার বাবার কথায়, ‘আমি বাড়ি নিয়ে চলে যাব। এখানে রাখব না। এখানে সুরক্ষিত নয়। আমার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে চলে যাব। ওড়িশার জলেশ্বরে। মেয়েকে স্বপ্ন নিয়ে পাঠিয়েছিলাম। ভবিষ্যতে ডাক্তার হবে। রোগীর সেবা করবে। বড় মানুষ হওয়ার স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন তো ওর ধূলিস্মাৎ হয়ে গেল। আমি ওইজন্য নিয়ে যাব।

 

এখানে সুরক্ষিত নয় মেয়ে আমার। এখানে সরকারি সুরক্ষা নেই। এইজন্য নিয়ে চলে যাব। এখন অনুভব করতে পারলাম, পার্থক্যটা কী। পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশার মধ্যে পার্থক্য কী। এখানে তো ঔরঙ্গজেব শাসন চলছে। আমার ওড়িশা খুব ভাল। আমার মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, আপনি আসুন। দরকার পড়লে এখানে মেডিক্যাল কলেজে মেয়েকে ভর্তি করে দেব…সবকিছু সহায়তা..ডিজি, ডিএসপি, এসপি…এমএলএ, এমপি সবাই…সবসময় আমার সঙ্গে খবর নিচ্ছেন। কিছু এসে দেখা করে গিয়েছেন। সমবেদনা জানিয়েছেন। ওড়িশা সবকিছু সাহায্য করছে আমাকে’।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
Stay Connected
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
Must Read
- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here