কয়েক মাস ধরেই ভারতের বিভিন্ন বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে বাংলায় কথা বলার অভিযোগে বাঙালি পরিচয় শ্রমিকদের কখনো বাংলাদেশী তকমা দিয়ে গ্রেফতার অথবা আটক করার পাশাপাশি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে বারে বারে।
তবে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের এবারে হেনস্থার শিকার হতে হল দেশের বাইরেও। চাকরির নামে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে ভুয়ো একটি নিয়োগ সংস্থার মাধ্যমে প্রতারণা করা হচ্ছিল বাংলা থেকে কাজের সন্ধানে যাওয়া ১১ পরিযায়ী শ্রমিককে। ওমানে মুর্শিদাবাদের ১১ জন শ্রমিক স্থায়ী আশ্রয় পাচ্ছিলেন না। অসাধু চক্রের পাল্লায় সে দেশে যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়াতে হচ্ছিল তাদের বলে অভিযোগ। এই খবর পাওয়া মাত্রই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তৎপর রাজ্য সরকার। তাদের পরিবারের কাছ থেকে সেই খবর পাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি তাদের পাশে দাঁড়ালো মমতার সরকার।
এই বিষয়টি জানিয়ে আজ তৃণমূলের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘কর্মসূত্রে ওমানে যাওয়া মুর্শিদাবাদের ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিক একটি অসাধু নিয়োগ সংস্থার দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়ে ওখানেই আটক হয়ে পড়েছিলেন। সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় তাঁরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁদের দুর্দশার খবর পেয়ে আমাদের জনদরদি মা-মাটি-মানুষের সরকার তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ করে, তাঁদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করেছে। রাজ্য সরকারের সক্রিয় প্রচেষ্টার ফলে মানুষগুলো এখন ওমানে ভারতীয় দূতাবাসের হেফাজতে আছেন, যেখানে তাঁদের খাবার ও থাকার সুব্যবস্থা করা হয়েছে। জীবিকার সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে আসা এই মানুষগুলো এখন তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য সাহায্য চেয়েছেন।
আমরা আশা করি বিদেশমন্ত্রক এই বিষয়ে দ্রুত এবং মানবিক পদক্ষেপ করবে, যাতে তাঁরা নিরাপদে দেশে ফিরে আসতে পারেন।’ জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে পরিযায়ী শ্রমিকরা ওমানের ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। ওই শ্রমিকদের যাতে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরিয়ে আনা যায় তার জন্য ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছে নবান্ন। এর আগেও বিদেশে বিপদে পড়তে হয়েছিল বাংলার পরিযায়ীদের। সেই সময়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম তাঁদের উদ্ধারে সাহায্য করেছিল। শুধু বিদেশে নয়, ভিন রাজ্যেও বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা হেনস্থার শিকার হলে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টাতে তারা ঘরে ফিরতে পেরেছেন।





