ভাইফোঁটার প্রাক্কালে ছানার দাম রেকর্ড গড়েছে। মঙ্গলবার কেজি প্রতি ছানার দাম ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ৩৪০ টাকায় পৌঁছেছে, যা মিষ্টি ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই রেকর্ড দামে ছানা বিক্রি হওয়ায় দুধ ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও, মিষ্টি ব্যবসায়ীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাঁদের বক্তব্য, এই উচ্চ মূল্যে ছানা কিনে কম দামে ভালো মিষ্টি বিক্রি করা কঠিন। ফলে, এবার ভালো মিষ্টি খেতে গেলে ক্রেতাদের বেশি দাম দিতে হতে পারে।
কালনা স্টেশন সংলগ্ন এসটিকেকে রোডের তেঁতুলতলা মোড়ে অবস্থিত মহকুমার বৃহত্তম ছানার পাইকারি বিক্রয় কেন্দ্রে গড়ে প্রতিদিন ১৫-২০ কুইন্টাল ছানা কেনাবেচা হয়, উৎসবের সময় যা ২৫-৩০ কুইন্টাল পর্যন্ত পৌঁছয়। সাধারণত ছানার দাম কেজি প্রতি ১৬০-১৬৫ টাকা থাকে, কিন্তু উৎসব-পার্বণে তা বৃদ্ধি পায়। ভাইফোঁটার বিপুল চাহিদার কারণে দিন কয়েক আগে ছানা কেজি প্রতি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, যা মঙ্গলবার জোগানের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এক লাফে ৩৪০ টাকায় দাঁড়ায়।
ছানা বিক্রেতারা জানান, সাধারণত ছানা বিক্রি করে গোরুর খাবারের খরচ ওঠে না, দুধ বিক্রি করলে কিছুটা লাভ থাকে। তবে অত দুধ বিক্রি করা সম্ভব না হওয়ায় ছানা তৈরি করতে বাধ্য হন। উৎসবের দিনগুলি ও বিয়ের মাসগুলিতে দাম বাড়লে তাঁরা কিছুটা লাভের মুখ দেখেন।
ছানার আড়তদার বাপি পাল জানান, চাহিদা ও জোগানের উপর নির্ভর করে নিলামের মাধ্যমে ছানার দাম ঠিক হয়। এবার সোমবার ছানার দাম ছিল কেজি প্রতি ২৬৫ টাকা, যা মঙ্গলবার ৩৪০ টাকায় ঠেকে।
কালনার মিষ্টি দোকানদার রণজিৎ মোদক বলেন, ছানার দাম অনেক বাড়ায় দুধের জোগান কমেছে এবং ক্ষীরের মিষ্টির জন্য বেশি দামে দুধ কিনতে হচ্ছে। তবুও লাভের অঙ্ক কমিয়ে দোকানের সুনাম বজায় রাখতে ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে ক্ষীরকদম, ভাঁইফোটা সন্দেশ, পেটি ইলিশ, রাজভোগ রসগোল্লা সহ বিভিন্ন মিষ্টি তৈরি করছেন তাঁরা।





