রাত পোহালেই খনি অঞ্চলে ভক্তির সাথে পালিত হতে চলেছে অবাঙ্গালীদের সবথেকে বড় উৎসব ছট মাইয়ার পুজো। এদিকে পুজো উপলক্ষে এলাকার মাংস ও মাছের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ অন্ডালের বিজেপির তরফে। এ ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল খনি অঞ্চলে। রানীগঞ্জ মন্ডল চার-এর আসানসোল জেলা বিজেপির প্যাডে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই ধরনের নির্দেশ জারি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার মাছ ও মাংস বিক্রেতারা।
অন্ডাল বাজারের মাংস বিক্রেতা অজয় মণ্ডল জানান, সকাল বেলা বিজেপির কয়েকজন কর্মী-সমর্থক তার দোকানে এসে তাকে আগামী ২৬ ও ২৭ তারিখ ছট পূজার কারণে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, তিনি তাদের জানিয়ে দেন তিনি দোকান বন্ধ করবেন না। তার একথা শুনেই তাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অজয় বাবু বলেন, পরে তার দোকানে অন্ডাল থানার পুলিশ এসে জানিয়ে দেন দোকান খোলা এবং বন্ধ রাখার অধিকার শুধু তার, তিনি ইচ্ছে করলে বন্ধ করতে পারেন ইচ্ছে না হলে খোলা রাখতে পারেন, তাকে কেউ হুমকি বা ধমকি দিতে পারে না।
অন্যদিকে আসানসোল জেলা বিজেপির রানীগঞ্জ মন্ডল চার-এর মন্ডল সভাপতি রাখাল চন্দ্র ঘোষ জানান, ছট মাইয়ার পূজো অবাঙালি হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের কাছে একটি পবিত্র পুজো। তিনি বলেন, বাজারের মাংস ও মাছ বিক্রেতাদের শুধু ২৬ ও ২৭ তারিখ দোকান বন্ধ করার আবেদন জানান, কারণ এই দুদিন ছট ব্রতীরা বাজারে আসবে পুজোর জন্য ফল মিষ্টি কিনতে। এছাড়াও ছটব্রতিরা পবিত্রভাবে দামোদর নদে পুজোর ঘাটে পৌঁছান এই রাস্তা দিয়েই, আর এই রাস্তায় যদি মাছ এবং মাংসের দোকানের জল গড়িয়ে যায় তাহলে সেই জলে পা দিয়ে পবিত্রতা নষ্ট হতে পারে।
সে কারণেই তারা এই অনুরোধ জানিয়েছেন দোকানদারদের বলে জানান রাখাল বাবু। এই বিষয়ে মদনপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান পার্থক দেওয়াসী জানান, ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ, সেখানে প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব স্বাধীনতা আছে। কে কি ধরনের পোশাক পরবে আর কে কি খাবার খাবে, এটা প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার। তবে যারা এই ধরনের নির্দেশ অন্ডালের মাছ ও মাংস দোকানদারদের দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে তিনি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানান। তিনি বলেন, প্রশাসনকে বলবো যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।





