শনিবার রাতে ভাঙড় থানার ঘটকপুকুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, একই দলের ভেতরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু দিন আগে জয়নগরে এক জনসভায় তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর খান ঘোষণা করেন, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, জয়নগর ও মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি বিধানসভার দেখভালের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘোষণার পরই কাইজার আহমেদের অনুগামীরা আনন্দে মেতে ওঠে। মিষ্টি বিলি, বাজি ফাটানো এবং উল্লাসের মধ্যেই তৈরি হয় উত্তেজনা। অল্প সময়ের মধ্যে খবর আসে, কাইজারের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর শুরু হয়েছে। অভিযোগ, অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও নষ্ট করা হয়েছে। কাইজার অভিযোগ করেছেন, দলেরই কিছু দুষ্কৃতী আমার কার্যালয়ে হামলা চালায়।
পাল্টা দিক থেকে বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ আহসান মোল্লা দাবি করেন, কাইজারের অফিসটি আসলে জমি বিক্রির অফিস, এবং জমির পাওনাদাররা ভাঙচুর করেছে। ভাঙড় থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, সওকাতকে ভাঙড়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর কাইজারকে কার্যত দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়। সেই চাপা উত্তেজনা শনিবার রাতের ঘটনার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই সংঘর্ষ তৃণমূলের অন্দরেই নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।





