অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। শিক্ষাক্ষেত্রে ফের একবার নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল জঙ্গলমহলের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। উচ্চ মাধ্যমিকের থার্ড সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফলে অভাবনীয় ফল করে রাজ্যে যুগ্মভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের দুই কৃতি ছাত্র— আদিত্য নারায়ণ জানা ও প্রীতম বল্লভ। উভয়েই বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ।
তাদের অর্থনীতি , স্টেটিকস, ম্যাথ ও কম্পিউটার সায়েন্স । আদিত্যর স্বপ্ন ডাটা সায়েন্টিস্ট হওয়ার । প্রতিম মনযোগ দিচ্ছেন চতুর্থ সেমিস্টারের জন্য। বজ্রকঠিন সংকল্প আর অধ্যবসায়ের ফলস্বরূপ, রাজ্যের মেধা-তালিকায় শীর্ষস্থানের মুকুট ছিনিয়ে এনেছেন এই দুই ছাত্র। পূর্ণমান ১৯৫-এর মধ্যে দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ১৯৩। এই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ‘জোড়া জয়ের’ স্বাদ পাওয়ায় পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের কর্তৃপক্ষ সহ শিক্ষক মহলে এখন খুশির বাঁধ ভেঙেছে। এই যুগান্তকারী সাফল্যে গর্বিত গোটা পুরুলিয়া জেলা।
আদিত্য নারায়ণ জানা পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা এবং প্রীতম বল্লভ আরামবাগের বাসিন্দা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এই দুই কৃতী ছাত্র প্রমাণ করলেন, সঠিক পরিচর্যা পেলে মেধা কোনও ভৌগোলিক সীমারেখায় আবদ্ধ থাকে না। তাঁদের এই সাফল্যের পর বিদ্যাপীঠের পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র সহ মোট ২৪ জন সফল ছাত্রকে মিষ্টি মুখ করিয়ে উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়েছে। যুগ্ম প্রথমের পাশাপাশি এই পরীক্ষায় আরও এক সাফল্য এনেছে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন। একই বিদ্যাপীঠের ছাত্র দেবপ্রিয় মাঝি পুরুলিয়ায় জেলার প্রথম ও রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করে জেলার মুখ আরও উজ্জ্বল করেছে। তাঁর ফল নিঃসন্দেহে বাকি পড়ুয়াদের কাছে অনুপ্রেরণা।
শিক্ষক মহল এই জোড়া সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলাকেই কারণ হিসেবে দেখছেন। বিদ্যাপীঠের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই জয় কেবল একটি সেমিস্টারের নয়, এটি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফল। কর্তৃপক্ষের তরফে দুই ছাত্রকে চতুর্থ সেমিস্টারের জন্য আরও বড় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সামনে বৃহত্তর লক্ষ্য, তাই এই আনন্দকে পাথেয় করে পরবর্তী সেমিস্টারেও সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে ছাত্রদের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।





