সমবায়ে ঋণ নিয়ে তা না মেটানোয় বন্ধ হতে চলেছে সমবায়।আর তার জেরেই সমস্যায় পড়েছেন এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ আমানতকারীরা।
সমবায় থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা। ঋণ করিয়ে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যদের ও তাঁর পরিচিত মানুষদের। কিন্তু সেই ঋণের টাকা না মেটানোয় বন্ধ হতে বসেছে সমবায়। ফলে সমস্যায় পড়েছে এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ গরীব মানুষরা। তাঁদের তিল তিল করে, রক্ত জল করে খেটে রোজগার করা টাকা এই সমবায়ে তাঁরা জমা রেখেছিলেন এখন প্রয়োজনে সেই টাকা তাঁরা পাচ্ছেন না। কখনও সমবায়ে তো কখনও পঞ্চায়েতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন তাঁরা। কোনো সুরাহা হচ্ছে না তাদের। সমবায়ের কর্মীরা তাঁদের জানিয়েছেন, সমবায়ের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করতে। সমবায়ের ম্যানেজার গৌরাঙ্গ মুখার্জী সাংবাদিকের সামনে ঋণ বাকী মানুষদের তালিকা দেখান।
তিনি নিজেও যথেষ্ট চিন্তায় আছেন বলে লক্ষ করা যায়। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি সমবায়ে ঋণ দেওয়া নেওয়া করেছেন। কিন্তু সে সময়ের তৎকালীন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা তথা চকদিঘী পঞ্চায়েত প্রধান ও আই এন টি টি ইউসির জামালপুর ব্লকের সহ-সভাপতি গৌর মন্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকেরা সার , নগদ ঋণ ও ট্রাক্টর কেনার ঋণ নেয়। সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ টাকা বাকী। টাকা তাঁরা দেবেন বলেও দেননি। ফলে ক্ষতি হয়েছে সমবায়ের। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা তাঁদের আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।
তারাও আমানত কারীদের ফেরত দিতে পারছেন না। এই অসহায় গরীব মানুষ গুলো কেউ মেয়ের বিয়ে দেবার জন্য টাকা রেখছিলেন, তো কেউ রূপশ্রী বা কন্যাশ্রীর টাকা রেখেছিলেন। আবার কেউ একটু একটু করে তাঁদের পরিশ্রমের টাকা সেখানে জমা রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউ আর নিজের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। খুব অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা অবিলম্বে তাঁদের জমা রাখা টাকা ফেরত চাইছেন।
তৃণমূলের নেতা গৌর বাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তার বাবার হয়তো লোন থাকতে পারে। তাহলেও তা মরগেজ দিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদি তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে জানায়।তাহলে তা পরিশোধ করে দেবেন। এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্ধের জন্য তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে তার অভিযোগ।





