বিধানসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই ফের সরগরম বঙ্গ বিজেপি। কয়েক মাসের নীরবতা কাটিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরে এলেন দিলীপ ঘোষ। দলের অন্দরে জল্পনা বাড়ছে,ফিরছেন কি তবে কার্যকরী ভূমিকায় প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি? শনিবার বিজেপির পুরনো দপ্তর, ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে আয়োজন করছেন তিনি বিজয়া সম্মিলনীর। এই আয়োজন ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। যে অফিসে বসে একসময় তিনি বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে ১৮ জন সাংসদ ও ৭৭ বিধায়ক উপহার দিয়েছিলেন, সেই অফিসেই এই অনুষ্ঠান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কয়েক বছর ধরেই ওই দপ্তর থেকে দূরে ছিলেন দিলীপ ঘোষ।
এমনকি পার্টি অফিসে তাঁর ঘরটিও ভেঙে দেওয়া হয়। দপ্তরের নিচের হলঘরে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার ‘অপরাধে’ সেখানে তালাও ঝুলেছিল। এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্য সভাপতির পদে বসেছেন শমীক ভট্টাচার্য। দায়িত্ব পাওয়ার পরই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, দলের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলবে। নভেম্বরেই দলের নতুন কমিটি ঘোষণার কথা শোনা যাচ্ছে। তার আগে দিলীপ ঘোষের এই অনুষ্ঠানকে অনেকেই দেখছেন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ হিসেবে।
সূত্র বলছে, শনিবারের বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শমীক ভট্টাচার্য, রাহুল সিনহা-সহ দলের সমস্ত প্রবীণ নেতা-কর্মীকে। দুপুর তিনটায় শুরু হবে অনুষ্ঠান। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, হতে পারে এদিনই দিলীপ ঘোষের প্রত্যাবর্তনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।দলের একাংশের মতে, আসন্ন ভোটে দিলীপ ঘোষকে আরও সক্রিয় ভূমিকায় দেখতে চান শমীক ভট্টাচার্য। তাই রাজ্য অফিস ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁর আয়োজনে। বিজেপির ভেতরের মতভেদ অনেকটাই গলবে কি শনিবার? নজর এখন মুরলীধর সেন লেনের বিজয়া সম্মিলনীর দিকে।





