ইমরান খানের মৃত্যুর খবর আচমকা গত বুধবার চাউর হয়ে যায়। রটে যায় যে কারাগারের ভিতরে তাঁকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ার নানা প্রতিবেদন ভাইরাল হয়ে যায়।
যদিও নির্ভরযোগ্য কোনও সংবাদ সংস্থা তাঁর প্রয়াণের খবর ছাপায়নি। রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত আদিয়ালা কেন্দ্রীয় কারাগারটি একটি ক্যাটাগরি ‘এ’ উচ্চ-নিরাপত্তার কারাগার। যেখানে সন্ত্রাসবাদে দোষী সাব্যস্ত, রাজনৈতিক বন্দি, হাই প্রোফাইল বন্দি এবং বিপজ্জনক অপরাধীদের রাখা হয়। এটি চলাচল, প্রবেশাধিকার, যোগাযোগ এবং নজরদারি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর নিরাপত্তা স্থাপত্য স্বাভাবিকভাবেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সহ যে কোনও বন্দিকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখে।
ইমরানের মতো বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র বিভাগ, কারা কর্তৃপক্ষ এবং কখনও কখনও নিরাপত্তা সংস্থার অনুমতি প্রয়োজন হয়। সাধারণ বন্দিদের মতো, হাই-প্রোফাইল বন্দিদের পরিবার বা আইনজীবীরা অবাধে দেখা করতে পারেন না। সমস্ত সাক্ষাতের অনুমোদন, রেকর্ডিং এবং তত্ত্বাবধান করতে হবে। যখন প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ থাকে, তখন কারা কর্মকর্তারা আইনত জনসাধারণের ব্যাখ্যা ছাড়াই প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারেন।





