কর্পোরেট কর্মসংস্কৃতিতে ‘অলওয়েজ অন’ ধারণাটির কারণে আধুনিক চাকুরিজীবীদের জীবনে মানসিক চাপ বাড়ছে। কঠিন টার্গেট পূরণ করতে গিয়ে এবং ছুটির দিনেও অফিসের কাজ করতে বাধ্য হওয়ায় বহু কর্মী মানসিক রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এই কর্মী হেনস্থার অবসানে এবার লোকসভায় গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হল। শুক্রবার এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে লোকসভায় ‘রাইট টু ডিসকানেক্ট বিল, ২০২৫’ পেশ করেছেন।
এই বিলের মূল লক্ষ্য হলো, কাজের সময় শেষ হওয়ার পর কর্মীদের ব্যক্তিগত সময় নিশ্চিত করা। প্রস্তাবিত এই বিলে স্পষ্ট বলা হয়েছে, অফিসের কাজের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কর্মীকে যেন কর্মক্ষেত্রের ফোন ধরতে বা ইমেল দেখতে বাধ্য না করা হয়, সেই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অফিসের কাজ শেষ হওয়ার পর এবং ছুটির দিনকে কর্মীদের ‘ব্যক্তিগত সময়’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদি এই বিল আইনে পরিণত হয়, তবে অফিসের পরে কিংবা ছুটির দিনে কাজ সংক্রান্ত ফোন ধরা বা ইমেলের জবাব দেওয়া কর্মীদের জন্য আর বাধ্যতামূলক থাকবে না।
এর জন্য কোনও কর্মীকে চাপ দেওয়া বা শাস্তি দেওয়াও যাবে না। কর্মীদের সুরক্ষার জন্য ‘এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অথরিটি’ নামে একটি কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের বিলকে ‘প্রাইভেট মেম্বার’স বিল’ বলা হয়, যা সাংসদরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে আইন প্রণয়নের জন্য পেশ করতে পারেন। যদিও সাধারণত এই ধরনের বিল সংসদে আলোচনার পর প্রত্যাহার করে নেওয়ার রীতি রয়েছে, তবুও এটি দেশের কর্মী সুরক্ষার প্রশ্নে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।





