তারাপীঠ মন্দির চত্বরে বহু দিন ধরেই নানা রহস্য আর লোক বিশ্বাসকে ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু জীবিত কুণ্ড। সম্প্রতি পৌরসভার উদ্যোগে এটি সংস্কার করা হচ্ছে। কুণ্ড সংস্কারের কাজ চলাকালীন বার বার জলশূন্য করলেও কয়েক মুহূর্তের মধ্যে আবার জল ভরে ওঠার ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মন্দির চত্বরে। স্থানীয়দের দাবি, যতই জল ফেলা হোক, কুণ্ড নিজের মতো করেই ভরে ওঠে।
দেবীশক্তির আশীর্বাদ না থাকলে এমন সম্ভব কী করে! শতাব্দী প্রাচীন এই কুণ্ডকে ঘিরে লোকমুখে আরও একটি প্রচলিত কিংবদন্তি আছে। বলা হয়, বহু বছর আগে এই পুকুরে মৃত মাছ ফেলতেই তা নাকি পুনর্জীবন পেয়েছিল। সেই রহস্যময় ঘটনার পর থেকেই নাম হয় জীবিত কুণ্ড। ভক্ত মহলের বিশ্বাস, এই কুণ্ডের জলে বাস করে মাতৃশক্তির করুণা, আর সেই কারণেই এর জল কখনও মৃত হয় না। সংস্কারের ফলে কুণ্ডের তলদেশে ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে এসেছে মন্দিরের জীবিত পিণ্ডের আশেপাশের পুরনো কাঠামো।
সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমছে দূর দূরান্ত থেকে আসা ভক্ত ও দর্শনার্থীর। স্থানীয় পুরোহিতরা জানাচ্ছেন, শতাব্দী ধরে এই কুণ্ডের জলকে অলৌকিক ক্ষমতার প্রতীক বলে মানা হয়। জল যতই তুলে ফেলা হোক; আবার ভরে ওঠে এ যেন ঈশ্বরেরই ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। ভক্তদের বিশ্বাস, মা তারা যেখানে থাকেন সেখানকার জলেও থাকে জীবনের স্পন্দন। তাই আজও জীবিত কুণ্ড তারাপীঠের বিস্ময় ও মুক্তির এক অদৃশ্য কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে।





