Become a member

Get the best offers and updates relating to Liberty Case News.

― Advertisement ―

spot_img

কমরেড গোলাম রসুল মন্ডল প্রয়াত

সিপিআইএম পার্টির বাদুড়িয়ার প্রাক্তন এলসিএম ও কৃষক সবার ব্লক কমিটির সদস্য কমরেড গোলাম রসুল মন্ডল প্রয়াত হলেন । মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক...
HomeUncategorizedনাগরিকত্বের আবেদনের শংসাপত্র দিচ্ছে সংঘ ঘনিষ্ঠ সংগঠন

নাগরিকত্বের আবেদনের শংসাপত্র দিচ্ছে সংঘ ঘনিষ্ঠ সংগঠন

রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ স্বীকৃত একটি সংগঠন শিবিরের আয়োজন করে সেখানে পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে আবেদনের শংসাপত্র দিচ্ছে। রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই শিবির চলছে। সীমাজন কল্যাণ সমিতি নামে সংঘ ঘনিষ্ঠ সংগঠনটি পাকিস্তান থেকে আসা ৩৩০ জন হিন্দু শরণার্থীর নথিপত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে সাহায্য করেছে। জয়সলমীর, বারমেঢ় এবং যোধপুরে রয়েছেন এই পাকিস্তানী হিন্দুরা।
পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় কাজ করে সংগঠনটি। সংশোধিত আইনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আইন কার্যকর হওয়ার পাশাপাশি নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য একটি পোর্টালও চালু করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আবেদনের যোগ্যতা বিষয়ক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, স্থানীয় কোনও নামী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শংসাপত্র দিতে পারবে। এই শংসাপত্র, হলফনামা এবং নথিপত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চালু করা পোর্টালে আপলোড করতে হবে আবেদনকারীকে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সংগঠনের পদাধিকারী ত্রিভুবন সিং রাঠোর শংসাপত্রে স্বাক্ষর করছেন। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা আনুযায়ী, আবেদনকারী কোন ধর্মের, সে বিষয়ে শংসাপত্র দেবেন স্থানীয় পুরোহিত। সংগঠনের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, জয়সলমীরে বিনামূল্যে নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য শিবির চালু করা হয়েছে। সংগঠনের সদস্যদের দাবি, শুধুমাত্র যোধপুরে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার এমন ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা ২০১০ সাল থেকে ভারতে থাকলেও, নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। সেই সমস্ত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতেই এই উদ্যোগ বলে দাবি সংগঠনের।
এদিকে, সংঘ ঘনিষ্ঠ সংগঠনের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ সাকেত গোখলে বলেন, “খুবই উদ্বেগজনক বিষয়। আগে মোদি সরকার জানিয়েছিল স্থানীয় কোনও পুরোহিত অথবা যাজক আবেদনকারীর ধর্ম সম্পর্কিত শংসাপত্র দিতে পারবেন। এবার রাজস্থানে সেই শংসাপত্র দিচ্ছে আরএসএস। কোনও ব্যক্তি হিন্দু কিনা এবং তিনি নাগরিত্বের আবেদন করার যোগ্য কিনা, সে বিষয়ে আরএসএস শংসাপত্র দেওয়ার অধিকার কোথায় পেল। এই শংসাপত্র দেওয়ার দায়িত্ব যদি মোদি সরকার শুধুমাত্র আরএসএসকেই দেয়, তাহলেও অবাক হওয়ার নেই।”